প্রতারণার অভিযোগে সিলগালা করা হয়েছে গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে শোরুমটি বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করতো প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (১৩ই মে) গুলশান শ্যুটিং ক্লাব এলাকার একটি মার্কেটে বিশেষ এই অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে। ভোক্তা অধিকার অধিদফতর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে। তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে গুলিস্তান, মিরপুর, সাভার ও টঙ্গী এলাকার মালামাল।
অভিযান পরিচালনার সময় আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, “ভোক্তা অধিদফতরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল অনলাইনে এবং এই দোকানে।”
তিনি বলেন, “তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।”
‘প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনও কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে,” বলেন তিনি।
আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, “আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।”
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য