-->
শিরোনাম

পিটিয়ে রিকশাচালকের পা ভেঙে দিলো পুলিশ, সড়ক অবরোধ

সাভার প্রতিনিধি, ঢাকা
পিটিয়ে রিকশাচালকের পা ভেঙে দিলো পুলিশ, সড়ক অবরোধ

সাভারে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এঘটনায় একটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রিকশাচালকরা।

 

সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় ওই রিকশাচালককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে সাভার সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

 

আহত রিকশাচালকের নাম মো. ফজলু, তিনি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বনসাপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। প্রায় ২২ বছর ধরে তিনি সাভারে বসবাস করছেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের র‌্যাকার চালক মো. সোহেল রানা। আজ র‌্যাকার চালক সোহেল ও মোস্তফা সাভারে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন।

 

ভুক্তভোগী রিকশাচালক ফজলু বলেন, আমি অটোরিকশা চালাই। আজ আমি ঢাকা-আরিচা?মহাসড়ক দিয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় পাকিজার সামনে থেকে মোটরসাইকেল যোগে র‌্যাকার চালক সোহেলসহ দুইজন ধাওয়া করেন। গেন্ডা বাস স্ট্যান্ডের কাছে গেলে আমাকে ধরে ফেলে তারা। আমাকে রিকশা থামাতে বললে সাইট করে থামাতে চাই। পর তিনি একটি লোহার রড দিয়ে প্রথমে বাম পায়ে আঘাত করে। আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে তিনি ডান পায়ে সেই লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন। এরপর আমি পরে যাই, আর উঠে দাঁড়াতে পারি নাই। পেটানো দেখে স্থানীয়রা এসে ও পুলিশকে ঘিরে ধরে। তখন তিনি সবার উদ্দেশ্য বলেন, আমি ভুল করেছি, এখন রিকশাচালককে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে দেন। পরে স্থানীয়রা চলে যায়। কিন্তু আমাকে অপর একটি রিকশায় তুলে দিয়ে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে তিনি চলে যান। থানা রোডের সাভার প্রেসক্লাবের সামনে ঘটনা শুনে অন্যান্য রিকশাচালকরা বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আমার কথা হলো আমার রিকশা নিয়ে যাবে, কিন্তু আমার পা ভেঙে দিলো কেন?

 

বিক্ষোভ থেকে রুবেল নামের এক রিকশাচালক বলেন, ভুক্তভোগী ফজলুকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সময় র‌্যাকার চারকদের সাথে থেকে অটোরিকশা আটক করা দুই দালাল আবারো গতিরোধ করেন। পরে অন্যান্য রিকশাচালকরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রেসক্লাবের সামনে থানারোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

 

তিনি আরও বলেন, ফজলুকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে কিন্তু ফেরত দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে সুপার ক্লিনিকে পাঠানো হয়। আমরা লোকাল রাস্তায় রিকশা চালাই। আমরা গরিব মানুষ, তার দুঃখ দেখে বিচারের দাবিতে সড়কে দাঁড়িয়েছি। এই সোহেল ১ সপ্তাহ যেতে না যেতেই রিকশা ধরে দুই হাজার করে টাকা নেয়।

 

এঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল রানার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে র‌্যাকার চালক মোস্তফা বলেন, আমি ওই রিকশাচালককে মারি নি। তবে আমি আজ র‌্যাকারের দায়িত্বে রয়েছি। আমার নাম তো মোস্তফা, আহতের কাছে জানতে চাইলেই বলবে কে পা ভেঙে দিয়েছে। আমি তো ওর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আমি ডিউটিতে এসেই দেখি এসব ঘটনা। সোহেল ডিউটিতে এবং ঘটনাস্থলে ছিল। আমি বলেছি আগে চিকিৎসা করো পরে যা হবার হবে। একথা বলে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

 

এব্যপারে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version