হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হকের (সুমন) বিরুদ্ধে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। মো. আবু তাহের নামের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী গতকাল শনিবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংসদ সদস্য সায়েদুল হক পছন্দের চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান আহমেদের পক্ষে ভোট চাওয়া, অনুদান ঘোষণা এবং নগদ অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার করে যাচ্ছেন। এমনকি ওই প্রার্থীর বিভিন্ন সমাবেশেও তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে টিআর-কাবিখা-কাবিটা, টিউবওয়েল, ব্রিজ কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।
একই সভায় তার স্বজন রায়হান আহমেদকে নির্বাচিত করার জন্য ইশারা-ইঙ্গিত ও প্ররোচনা দিয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্প্রতি সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের শীলপাড়া এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার লাগিয়েছেন এবং সেখানে সভায় তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তার বাসায় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও গণমান্য ব্যক্তিকে ডেকে এনে রায়হানের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ ও আহ্বান জানাচ্ছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার সুমন চা বাগানের শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখান। তিনি রায়হান আহমেদের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে ভোট চাচ্ছেন। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন।এ ব্যাপারে চুনারুঘাটের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সংসদ সদস্য হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া এবং সমাবেশ করা যাবে না। তবে নিজ নির্বাচনী এলাকায় তিনি নিজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সভা সমাবেশে অংশ নিতে পারেন।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য