এসময় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, জাতির পিতার সমাধিতে এসেছি ওনার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। আমার সঙ্গে রয়েছেন নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা ও ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লবজং রিনজিন এয়ারগি। এ দুই বন্ধু প্রতীম দেশ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের অনেক সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছে। তাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের কিছু বৈষম্য থাকলেও অনেক অংশে আমাদের সঙ্গে মিল রয়েছে। সেজন্য তারা একটি করফারেন্সে এসেছেন ঢাকায়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার তারা বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম দেখেছেন। তাদের আগ্রহ ছিল এ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসার। তাদের বঙ্গবন্ধুকে জানার যে আগ্রহ এবং তার প্রতি যে সম্মানবোধ, সেটা আমাদের অভিভূত করেছে। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ এ দেশ দুটিকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত মন্তব্য বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন তারা।
এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. কামরুল হাসান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ভূইয়া, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম কবীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মো. মঈনুল হক, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল শেখসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য