-->
শিরোনাম
দুর্নীতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের

‘আদার দিয়েছি, রুই-কাতলা ধরা পড়বে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘আদার দিয়েছি, রুই-কাতলা ধরা পড়বে’

লুটপাট করতে নয়, লুটপাট বন্ধ করতেই এ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের ধরতে নতুন করে আইন করার দরকার নেই। যে আইন আছে সেটা দিয়েই ধরা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমিও বলব- আদার দিয়েছি, রুই কাতলা ধরা পড়বে।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

কালো টাকা সাদা করার সমালোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কালো টাকা সাদা তো সাইফুর রহমান করেছেন, বেগম খালেদা জিয়াও করেছেন। বেগম জিয়া এখন বৃদ্ধ মানুষ। আমি বলতে চাই না, তারাও তাহলে দুর্বৃত্ত। এই বাজেট করা হয়েছে রাঘব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য।

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও হুমকি মোকাবিলায় আগামীতে অবশ্যই শান্তি সমাবেশ করতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীতেও এ ধরনের হুমকির মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সবাই আমরা প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় হত্যার মহোৎসব চলছে— বিএনপির এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটে। বিএনপির আমলে তো এটা আরও বেশি হয়েছিল। কিন্তু এটা যে মহোৎসব বা উৎসব এটা তো বলা যায় না। কোনো ঘটনা ঘটলেই কিন্তু দুই দেশ এক সাথে বসে, আলাপ আলোচনা করছে। এর পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল, দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, অন্ধকার পথ থেকে শেখ হাসিনা এই দেশকে উদ্ধার করেছেন। লুটপাট আমরা বন্ধ করেছি। দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। এদের বিচার করার সাহস বিএনপির ছিল না, শেখ হাসিনা সরকারের আছে। লুটপাত করে কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।

নিজের লোককে শায়েস্তা করার সাহস বিএনপির নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে সনি হত্যার বিচার কে করেছে? আর আবরার হত্যায় যে কয়েকজন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছে সবাই ছাত্রলীগ বলে পরিচিত। বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার কি হয়নি? তারা তাদের সময় তাদের দলীয় কোনো নেতার একটা বিচার করেছে? আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কোহিনূর এদের বিচার কে করেছে? বেনজীর, আজিজ সাহেবেরা দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবেন না। তারা আওয়ামী লীগের লোক নন। একজন পুলিশ অফিসার আরেকজন সেনা অফিসার। কথা হচ্ছে দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পেয়েছে কি না? যেটা বিএনপি করেছে। আমরা ইম্পিউনিটি কালচার গড়ে তুলিনি।

আমেরিকা ও ইসরাইলের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই চোখেও দেখি না, কানেও শুনি না। আমরা সবাই যেনো বধির হয়ে গেছি। ৯ মাস পরে ৪ জন হোস্টেস কে উদ্ধার করল, তাতে মনে হচ্ছে বিশ্বনেতা যেনো ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। গতকাল ইন্টারন্যাশনাল সব মিডিয়া তাকে একজন মহামানব বানিয়েছে। আর বাইডেন সাহেব ফ্রান্সে বসে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নেতানিয়াহু প্রশংসাজনক কাজ করেছেন সে জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল জোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version