দুবাই, ওমান ও কাতারের শ্রমবাজার আবারো নিয়মিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৯৬ হাজার অবৈধ কর্মীকে বৈধতা দেবে ওমান। আর দুবাই নেবে ৩ হাজার কর্মী।
এদিকে, বিপুল সংখ্যক কর্মীর মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণ খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটি ঈদের আগে প্রতিবেদন দিতে পারছে না। কর্মসংস্থানের চেয়ে দ্বিগুণ কর্মী যাওয়ায় ও ভিসার অপব্যবহারের কারণে গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওমান সরকার সব ধরনের ভিসা বন্ধ করে দেয়।
তবে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ওমান ১২টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের জন্য আবারও ভিসা খুলে দিয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছে। তবে ১২ ক্যাটাগরির ভিসার মধ্যে সাধারণ কর্মী যাওয়ার সুযোগ নেই। দক্ষ কর্মী চেয়েছে দেশটি।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ওমানে ৯৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘৯৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্নভাবে অবৈধ উপায়ে গিয়েছিলেন ওমানে। ইতিমধ্যে তাদেরকে বৈধ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। সেটা আমাদের বড় অর্জন। সেটার জন্য একটা ফি নেওয়া হয়। সেটা যাতে মওকুফ করা হয় তার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছি।’
এদিকে, দুবাই ও কাতারে আবারো শ্রমবাজার নিয়মিত হতে যাচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। দুবাই থেকে ইতিমধ্যে ৩ হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে। কাতারের শ্রমবাজারও শিগগির খুলে দেয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এদিকে মালয়েশিয়ায় অনিয়মের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে আরো ৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইমিগ্রেশানে মালয়েশিয়ার রিপোর্ট, ১০১টা রিক্রুটিং এজেন্ট, বায়রা থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। সে হিসেবে একটু সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি একটু সময় চাইছে। আমরা তাদের আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দিয়েছি। ঈদের পরে আমরা বসব রিপোর্ট নিয়ে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজার কর্মীর মধ্যে ৩ হাজার লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য