-->
রাজধানীর পল্টনে আগুন

ফাইন্যান্স টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে মালামাল পুড়ে ছাই

সুপ্তি রায়
ফাইন্যান্স টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে মালামাল পুড়ে ছাই

রাজধানীর পল্টনের কালভার্ট রোডের ফাইন্যান্স টাওয়ারের ১৫তলা ভবনের ৬ষ্ঠতলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এবং রাতে ঘটনাস্থল থেকে ভোরের আকাশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনারুল হক।

 

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর জানিয়েছে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ৭টা ২৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনের ষষ্ঠ তলায় ডেভেলপার কোম্পানি, ফ্যাশন হাউস, আইনজীবীর চেম্বারসহ অনেকগুলো অফিসের কার্যক্রম চলতো। সন্ধ্যার দিকে ওই ভবনে হঠাৎ কালো ধোঁয়া দেখতে পান তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক পাখা ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। চারদিকে ছাই আর কালো ধোঁয়ার ছাপ পড়ে রয়েছে। জানা যায়, ফাইন্যান্স টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ৫ম তলা থেকে ধোঁয়ায় অসুস্থ এক নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোরের আকাশকে জানান, ওই নারী দগ্ধ হননি। তবে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

 

এদিকে ১৮ বছর ধরে জমানো নথিপত্র হারিয়ে অঝোরে কাঁদলেন ইউনুস মিয়া নামের এক আইনজীবী। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আমি চেম্বারের বাইরে ছিলাম। চেম্বারে দুজন জুনিয়র ছিল। আগুনের মাত্রা বাড়তে থাকায় তারা এখান থেকে সরে যায়। আমি শোনার পর ছুটে এলেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিরাপত্তার জন্য ভেতরে যেতে দেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসে দেখি আমার ১৮ বছরের গড়ে তোলা পরিশ্রম শেষ। কম্পিউটার পুড়ে সব ডাটা শেষ হয়ে গেছে। এতে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এখন ক্লায়েন্টদের কীভাবে সামাল দেবো আল্লাহ জানেন।’

 

ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনারুল হক বলেন, ‘সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ১৫তলা ভবনের ষষ্ঠতলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আগুনের ধোঁয়ায় সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর পাঁচতলায় থাকা ২২ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে ছাদে নেয়া হয়।’

 

আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে।

 

ভোরের আকাশ/মি/সু

মন্তব্য

Beta version