-->
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ - চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু ৫ দিনের হস্তশিল্প মেলা

শহিদুল ইসলাম খোকন
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ - চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু ৫ দিনের হস্তশিল্প মেলা

নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও অর্থনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী ‘হস্তশিল্প পণ্য’কে ‘বর্ষপণ্য-২০২৪’ ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে পূর্বাচলস্থ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী ‘হস্তশিল্প মেলা-২০২৪।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন এবং এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত থাকবেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মেলায় পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, বেত ও বাঁশজাত পণ্য, তাঁত পণ্য, কারু পণ্য, হ্যান্ড মেইড জুয়েলারি, মৃৎশিল্পজাত পণ্য প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান (ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস বিডি লি., নাদিয়া জামদানী ওয়েভিং ফ্যাক্টরি, আধুনিকা, টুইংকেল ক্রাফট, কল্পতরু, মা এন্টাপ্রাইজ, প্রকৃতি প্রভৃতি), মেলায় হস্তশিল্পজাত পণ্য প্রস্তুত প্রক্রিয়া উপস্থাপন করে দর্শনার্থীদের প্রত্যক্ষ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এতে প্রায় ১০০টি হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে স্বল্পমূল্যে সেলস্কিম স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসির ডেডিকেটেড শাটল বাস নিয়োজিত থাকবে। মেলায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি পার্কিং এর সু ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের সব ধরনের তথ্য প্রদানের জন্য মেলায় থাকবে একটি তথ্য কেন্দ্র। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিচ্ছন্নকর্মী। এছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে, সিসিটিভি সার্ভেল্যান্স সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড নিয়োজিত আছে। যেকোনো ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনা রোধে মোতায়েন করা হয়েছে ফায়ার ব্রিগেড। মেলায় সুলভ মূল্যে দর্শনার্থীদের খাবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৪টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ক্ষুদ্র পরিসরে হস্তশিল্প রপ্তানি শুরু হয়। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৯ হাজার ডলার। ধীরে ধীরে হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। গত পাঁচ বছরে বিশ্ববাজারে গড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের অধিক হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানি হয়, যেখানে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানি হয়।

একক দেশ হিসেবে চীন বৈশ্বিক হস্তশিল্পপণ্য রপ্তানি বাজারের ৫০ শতাংশের বেশি জায়গা দখল করে আছে। এছাড়া ভিয়েতনাম ১১.৩ শতাংশ, নেদারল্যান্ড ৩.৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩.২ শতাংশ, স্পেন-২.৬ শতাংশ, ফ্রান্স ২.২ শতাংশ, ভারত ২.২ শতাংশ, জার্মানি ২.২ শতাংশ, পোল্যান্ড ২.২ শতাংশ, কানাডা ১.৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ ১.৪ শতাংশ।

বাংলাদেশের মাটি, হোগলাপাতা, কচুরিপানা, পাট, বাঁশ ও বেতের মতো কাঁচামাল দিয়ে হাতে তৈরি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান, তাইওয়ানসহ সবমিলিয়ে অর্ধ শতাধিক দেশে চাহিদা রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version