-->
জমি জালিয়াতি

নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর চার বছর করে জেল

হেলাল সাজওয়াল
নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর চার বছর করে জেল

জালিয়াতির মাধ্যমে জমি আত্মসাতের মামলায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ লাক মিয়াসহ ৫ জনকে চার বছর করে জেল দিয়েছেন আদালত। গত রোববার নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহমান এই রায় দেন।

 

দণ্ডিত অন্যরা হলেন- চেয়ারম্যান লাকমিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগম। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়নের উজান গোবিন্দি এলাকায়। লাক মিয়ার বাবার নাম সাবেদ আলী। এছাড়া রূপগঞ্জের সন্ডলবাড়ি এলাকার সুধন দাসের ছেলে শুভ বিশ^াস; মর্তুজাবাদ এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক মিয়া এবং পাঁচাইখা এলাকার ছানা উল্লাহর ছেলে মো. মামুনকে জেল দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

 

জানা যায়, রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পানাব মৌজার সিএস খতিয়ান নং ১৪৬, এসএ খতিয়ান নং ১২০ ও আর এস খতিয়ান নং ৬৫ এবং সি এস ও এসএ দাগ নং ২৬৯ ও আর এস দাগ নং ৩৫২ এর ১৪ শতাংশ জমি এবং একই মৌজার সিএস ৯৩ নং খতিয়ান এসএ খতিয়ান নং ৬২ ও আর এস খতিয়ান নং ১৫০ এবং সিএস ও এসএ দাগ নং ২৬১ ও আরএস দাগ নং ৩৪১ এর ৩৭.৫ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক জাহের উদ্দিন সরকার। দুই দাগে দুটি দলিলে (যথাক্রমে দলিল নং ১০১৫৭, তাং ০১.১০.২০১৪ এবং দলিল নং ১২৬৪৪, তাং ১৮.১২.২০১৪ ইং) মোট ৫১.৫ শতাংশ জমি জাহির উদ্দিন সরকার ক্রয় করে ভোগ দখল করছিলেন। কিন্তু বিগত ২০২১ সালের ২০ মার্চ লাক মিয়ার নেতৃত্বে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তারা বলে, আমরা এই জমি ক্রয় করেছি। জায়গা না ছাড়লে তারা জমির কেয়ারটেকারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আদালত সূত্র জানায়, জাহের উদ্দিন সরকারের ভোগ দখলে থাকা জমিটি চেয়ারম্যান লাক মিয়া আত্মসাত করতে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি একটি জাল দলিল তৈরি করেন। পরবর্তীতে আরও দুইটি দলিল করে সর্বশেষ চেয়ারম্যানের স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে দলিল করে জাহের উদ্দিন সরকারের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করার চেষ্টা করে দণ্ডিতরা। জাহের উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ মে ১০৯/১২০-খ/৪৪৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬/৩৪ (দ:বি:) ধারায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৯জনকে আসামি করা হয়।

 

২০২১ সালে আদালত মামলাটি তদন্ত করতে পিআইবিকে নির্দেশ দেন। ২০২২ সালে পিআইবি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত লাকমিয়াসহ ৫জনকে জেল দিলেন। আদালত বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন। লাকমিয়া বর্তমানে পলাতক আছেন।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version