-->
শিরোনাম

সর্বত্রই পদত্যাগের হিড়িক

এম জহিরুল ইসলাম
সর্বত্রই পদত্যাগের হিড়িক

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পুলিশ, জনপ্রশাসন, শিক্ষাঙ্গন, বিচারালয়সহ প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। কেউ স্বেচ্ছায়, আবার কেউ চাপের মুখে পদত্যাগ করছেন। অনেককে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হচ্ছে। বদলি করা হচ্ছে অনেক কর্মকর্তাকে। এতে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অজানা শঙ্কায় ভুগছেন।

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালায় সুপ্রিম কোর্টে নাটকীয়ভাবে শনিবার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। তারা হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। এদিন সরকারের বিভিন্ন দফতরে পদত্যাগ আর পরিবর্তনের হিড়িক পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের ধারা অব্যাহত ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও।

এমন পালাবদলের মধ্যে পরিবর্তন ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কারের সুফল দেশের মানুষ পাবে। কোটা সংস্কারকে ঘিরে আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা রংপুরে নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তিনি বলেন, আবু সাঈদ চমকে দিয়েছে বিশ্বকে। তার গুলি খাওয়ার যে ছবি মানুষ দেখলো, এরপর মানুষকে আর থামানো যায়নি। তোমরা দ্বিতীয় বিজয় এনে দিয়েছো। দেশের মানুষ এ বিজয়ের সুফল ভোগ করবে। এদিন দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট রুমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি। তবে বিজয়ের সুফল পেতে কতদিন দায়িত্বে থাকবে অন্তর্বর্তী সরকার সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট না করলেও এদিন সচিবালয়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতাকে সুখকর না। আমি বলতে চাই, সব প্রতিষ্ঠানই সংস্কার করা হবে। সংস্কারের আকাক্সক্ষা এবং নির্বাচনের আকাক্সক্ষা মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকা দরকার ততদিনই আমরা থাকব। বেশিও না কমও না। এই সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, আপনাদের দুইটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন। আবার এদেশের সাধারণ মানুষের যে সংস্কারের আকাক্সক্ষা, সেখান থেকে প্রত্যাশা থাকবে এই সরকার যেন জরুরি কিছু সংস্কার করে যায়। নির্বাচন কমিশনেও সংস্কারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তো আপনারা জানেন। এখানে যদি ‘থরো ওভারহলিং’ না করা হয়। তাহলে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা তো আবার এই প্রতিষ্ঠানকে সেইভাবে ব্যবহার করবে।

সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা যে দুর্নীতি, তার বিরুদ্ধেও কঠোর হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন সরকারের আরেক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

শনিবার মতিঝিলের শিল্পভবনে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জনগণের এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, এত মানুষের রক্তের উপর দিয়ে আমরা দায়িত্ব এসেছি। এখানে দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া তো আর কোনো উপায় নাই। অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থেকে আমরা ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেট পূরণে সাধ্যমতো চেষ্টা করব।

ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার তৃতীয় দিনে যেসব পদে পদত্যাগ বা পরিবর্তনের ঘোষণা এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। বিচারালয়ের শীর্ষপদ থেকে সরে যাওয়ার দাবি প্রবল হওয়ার পর শনিবার পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এক সময় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দেশের চতুর্বিংশতিতম প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে আসেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তার বিচার অঙ্গনের নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল। শনিবার সকাল থেকে দেশের উচ্চ আদালতকে ঘিরে দিনভর নাটকীয় ঘটনার সংবাদ আসতে থাকে। প্রধান বিচারপতি সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে ফুলকোর্ট সভা আহ্বান করলেও আন্দোলনকারীরা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়ার পর তা স্থগিত করা হয়। তাদের দাবি মানা না হলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ঘেরাওয়েরও হুঁশিয়ারি দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঘিরে গড়ে ওঠা এ প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শিক্ষার্থীদের জমায়েতের পর এক সময় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন বলে ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় খবর দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন ও বিচার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান বিচারপতি কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেছেন। উনার পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এটা উপযুক্ত প্রসেসিংয়ের জন্য আমরা কালবিলম্ব না করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। এবং আমি আশা করব যে এটা খুব দ্রুত, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বেলা দেড়টার দিকে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেলে ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা হাই কোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান। ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের যে দাবি উঠেছে, তার ধাক্কায় মেয়াদপূর্তির দেড় বছর আগেই প্রধান বিচারপতিকে সরে যেতে হল।

এর আগে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের খবরের মধ্যে নাটকীয় পরিবর্তন হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করার খবর আসে। তখন সেটি প্রত্যাখ্যান করে স্লোগান দিতে থাকেন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সরে শিক্ষা চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকা আন্দোলনকারীরা। প্রথমে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণার দাবি তোলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। পরে সময় বেঁধে দেওয়া হয় রোববার সকাল ৯টা। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। আমরা জেনেছি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মো. আশফাকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, গত পনের বছর তিনি হাসিনাকে সার্ভ করেছেন। তাই আমরা এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করছি।

শিক্ষাঙ্গন ও অন্যান্য : পটপরিবর্তনের মধ্যে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেছেন। শনিবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত ১৫ অক্টোবর অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। ৪ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন। এছাড়া, ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার আগাম অবসরের (আর্লি রিটায়ারমেন্ট) আবেদন করেছেন বলে জানান মাকসুদ কামাল। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানসহ ১৩ জন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেন। এদিন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. হারুন-উর-রশীদ আসকারীও পদত্যাগ করেছেন; যিনি ২২ দিন আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত কারণে’ শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। রশীদ আসকারী গত ১৮ জুলাই বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আলোচিত উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদও এদিন পদত্যাগ করেন।

বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। ফরিদ উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২১ অগাস্ট। তবে মেয়াদ শেষের এক বছর ১১ দিন আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি। ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এই বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান।

এদিন পরিবর্তন করা হয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানও। আগের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরীকে সরানোর পর দায়িত্ব পান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।

শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের পর পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ২৯ কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ড. আমানুর আমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

দেশজুড়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংস্কারের যে ডাক শোনা যাচ্ছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবিরও নামও রয়েছে। কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সংস্কারের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, আমি যেহেতু খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি, আমার মনে হয় না, বিসিবি খুব সুশৃঙ্খল একটা সংগঠন। বাইরে থেকে অনেকেই হয়তো চাকচিক্য দেখে মনে করে, বিসিবি দারুণ একটা সংগঠন। এদের যে সুযোগ ছিল, সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার মোটেও হয়নি। সেটা অনেকগুলো কারণেই হয়নি। অনেকের ইচ্ছাকৃত ভুলের কারণেই হয়নি। তাই আমার মনে হয় এখানে পরিবর্তন আনা দরকার।

এখানে কাজের যে ধরন, ভেতরে-ভেতরে বিশৃঙ্খল কাজ হয়। সেটা পরিবর্তন আনা দরকার। সংস্কারের দাবি উঠেছে শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনেও। ভাস্কর্য, শিল্পস্থাপনার ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি সংস্কারের দাবি নিয়ে ‘গণহত্যা ও নিপীড়ন বিরোধী শিল্পী সমাজ’র ব্যানারে শনিবার শাহবাগে সমাবেশ করেছেন সংগীত শিল্পী, আলোকচিত্রী, লেখক ও কবিরা। জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশে দৃশ্যশিল্পী, পারফরমেন্স শিল্পী, গবেষক, স্থপতি ও শিল্পসংগঠকরাও অংশ নেন। সংস্কারের অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ভবিষ্যতে রাজনীতির সঙ্গে এই মেডিকেল কলেজের কোনো শিক্ষার্থীর কোনো সংশ্লিষ্টতার খোঁজ মিললে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। শনিবার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে উপাধ্যক্ষ ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, পরীক্ষা নেওয়ায় আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। প্রিন্সিপাল স্যার জানিয়েছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত।

পুলিশ প্রশাসন : কয়েকদিন আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। তার স্থলে মো. ময়নুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ময়নুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত আইজি পদে সুপারনিউমারারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ময়নুল ইসলাম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে ওএসডি করে পুলিশ দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সিআইডির (প্রশাসন) ডিআইজি মাইনুল হাসানকে। বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নতুন মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। বৃহস্পতিবার র‌্যাবের ১১তম পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. হারুন অর রশিদকে পুলিশ অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে। এ কে এম শহিদুর রহমান ১৯৯১ সালে বিসিএস ১২তম ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা এক ধরনের অজানা শঙ্কার মধ্যে আছেন। চাকরিতে বদলি একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু চাপে পড়ে কিংবা অপমান হয়ে বদলি হওয়াটা সত্যিই অনাকাক্সিক্ষত।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version