নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো যেন একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অতিবৃষ্টি, দাবদাহ, হরতাল-অবরোধ কিংবা উৎসব-পার্বণে হুট করেই বেড়ে যায় পণ্যের দাম। কখনো উৎপাদন কমার দোহাই; আবার কখনো চাহিদা বৃদ্ধির অজুহাতে বাড়ানো হয় দাম। পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষ ছিল সারাবছরই। শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে আন্দোলন ও কারফিউয়ের অজুহাতে বেড়ে যায় শাক-সবজি, মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার পদক্ষেপ লক্ষ্য করা গেছে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাতা-রাতি পণ্যের দাম কমবে না। তবে ধীরে ধীরে দাম কমবে। তারা সেভাবেই কাজ করছেন। কিন্তু সবজির দাম উল্টো বাড়ছে। বেশকিছু সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আবার কিছু সবজির দাম কমেছে। একই সবজির দাম কোথাও বেড়েছে; আবার কোথাও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৪০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। খাসির মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বাজার তদারকি করার পরমার্শ দিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। একই সঙ্গে পণ্যের দাম কমাতে অর্থ উপদেষ্টার ওপর তারা আস্থা রাখতে চান। সব মিলিয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাই এ সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর কাঁচাবাজার গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় গতকাল বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে কয়েকটি সবজির দাম কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। আবার বেশ কিছু সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। এদিন ভারতীয় টমেটো ১৫০ টাকা, দেশি গাজর ৯০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৯০ টাকা, শসা ৬০-৯০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, করল্লা ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, পটল ৪০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০-৩৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। মানভেদে প্রতিটি লাউ ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৭০ টাকা করে বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩৫-৪০ টাকা, হালি লেবু বিক্রি হয় ২৫ টাকা করে। দাম তুলনা করে দেখা যায় চায়না গাজর ও করল্লার দাম কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া লম্বা বেগুন, কালো গোল বেগুন, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, শসা, পটল, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়ার দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। সাদা গোল বেগুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আর কাঁচা মরিচের দামই বেড়েছে ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
দুই সপ্তাহ আগে বিক্রেতারা বলেছিলেন, সবজির দাম আর বাড়ছে না। এরপরও সবজির দাম বেড়েছে। কেন বেড়েছে জানতে চাইলে বিক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, সবজির দাম কমই ছিল কিন্তু আজকে বেড়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে আমরা ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়িয়ে ফেলি। কীভাবে দাম বাড়াই আমরা... সব ব্যবসায়ী কিন্তু এক রকম হয় না। কেউ বড় ব্যবসায়ী, কেউ ছোট ব্যবসায়ী। বড় ব্যবসায়ীদের মাল লাগে বেশি, ছোটদের কম। যখন মোকামে যাই তখন আমরা একটা সবজির দাম বলি ৫০ টাকা করে কেজি। আমার লাগবে ১০ কেজি। তখন বড় ব্যবসায়ী এসে সেই জিনিস ৫৫ টাকা করে ২০-৩০ কেজি কিনে নিয়ে যায়। তখন কিন্তু বাজারে ওই জিনিসের দামটা বেড়ে যায়। তখন অটোমেটিক আমাদেরও বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বেচতে হয়।
চা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিক্রেতা রাজিব বলেন, এই দাম বাড়ার পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা বেশি দামে কিনি বলেই বেশি দামে বিক্রি করি। আমরা যে পাইকারদের জিজ্ঞেস করবো, দাম কেন বাড়লো সেই উপায়ও নাই। এই কথা বললেই তারা আরেকজনের কাছে বিক্রি করবে। আমার কাছে বেঁচবেই না।
এদিকে বাজার করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী সেলিম মিয়া বলেন, কাঁচা মরিচের দামতো উপরেই উঠছে শুধু। এখন ২০-৩০ টাকায় যতটুকু পাই কিনি। মাঝখানে সবজির দাম কমেছিল, সেটা এখন বাড়ার দিকেই যাচ্ছে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে এখন এদিকেও পরিবর্তন হতে হবে। নাইলে মানুষের মধ্যে শান্তি আসবে না।
কমেছে পেঁয়াজ ও আদার দাম : আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১০-১২০ টাকায়। এরমধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১২০ টাকা করে। তুলনা করলে দেখা যায়, ক্রস ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। এছাড়া আজকে লাল আলু ৬০ টাকা, সাদা আলু ৬০ টাকা, বগুড়ার আলু ৭০-৮০ টাকা, দেশি রসুন ২২০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, চায়না আদা ২৮০ টাকা, ভারতীয় আদা মানভেদে ২৮০ দরে বিক্রি হয়। অর্থাৎ, চায়না আদার দাম ও ভারতীয় আদার দাম কমেছে ২০ টাকা করে।
ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৪০০-২০০০ টাকা, রুই মাছ ৩৬০-৮০০ টাকা, কাতল ৪৫০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৭০০ টাকা, চিংড়ি ১০০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি ৫০০ টাকা, কৈ ২০০-৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৮০০ টাকা, শিং ৪০০-১০০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৭০০ টাকা, বেলে ৮০০- ১৪০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১১৫০ টাকা কেজি দরে। সেই খাসির মাংসের দাম ১০০ টাকা কমে বিক্রি হয় ১০৫০ টাকায়। যদিও নতুন দামও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অনেক বাইরেই রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসে নতুন এই দাম নির্ধারণ করে দিয়ে যায় বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এদিন গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৫০ টাকা কেজি দরে। বিভিন্ন দোকানে মুরগির লাল ডিম ১৪৫ টাকা এবং সাদা ডিম ১৪০ টাকায় প্রতি ডজন বিক্রি হয়। ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৬২-১৬৫ টাকা, কক মুরগি ২১৮-২৩৩ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। অর্থাৎ, আজ কক মুরগির দাম কমেছে ৪২ টাকা, লেয়ার মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকা এবং দেশি মুরগির দাম কমেছে ৩০ টাকা।
এদিকে বড় মুগ ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা এবং এলাচির দাম কমেছে ৩০০ টাকা। আর কালো গোল মরিচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেশারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১৩০ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা, ছোলা ১১৫ টাকা মাশকালাইয়ের ডাল ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৩৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া এলাচি ৪২০০ টাকা, দারুচিনি ১৫০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৬০০ টাকা ও কালোগোল মরিচ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
নিত্যপণ্যের দাম কমবে নিশ্চিত : মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় শুরুতেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দ্রুত কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ গত বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা এরই মধ্যে উৎপাদন এবং সরবরাহের দিকে মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করেছি। কাকে ধরবো, কাকে আটকাবো সেটা মূল বিষয় নয়; এখন প্রধান কাজ হলো জিনিসপত্রের দাম কমানো। জিনিসপত্রের দাম রাতারাতি একেবারেই কমানো সম্ভব হবে, বিষয়টা সেরকম হয়তো নয়। কিন্তু দাম কমবে এটা নিশ্চিত। মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তি মিলবে শিগগিরই। উৎপাদন বাড়লে বাজারে সরবরাহ বাড়বে। উৎপাদন বাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
যা বলছেন ক্রেতা বিক্রেতা : সবজির দাম কেমনÑ এমন প্রশ্ন করতেই রাজধানীর রামপুরা এলাকার সবজি বিক্রেতা কুরবান আলী জানান, শিক্ষার্থীরা এখন নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে আসে, দরদাম জানতে চায়। এছাড়া বেশি দামে যেন সবজি বিক্রি করা না হয় সে বিষয়ে তাগাদা দিয়ে যায়। পাশাপাশি এখন কারওয়ান বাজার থেকে স্থানীয় বাজারের কোথাও চাঁদা দিতে হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে। রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী তৌহিদুল ইসলাম। বাজারে সবজির দরদাম বিষয়ে তিনি বলেন, গত মাসের তুলনায় বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে। কিছুদিন আগেও বাজারে কোনো সবজি ৮০ টাকার নিচে ছিল না, এখন সেগুলো কমে ৩০ টাকা ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ৬০ টাকার মধ্যে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু সবজির দাম ৮০ টাকার ঘরে আছে। আর যে সবজির এখন মৌসুম না সেগুলো ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে বলা যায় আগের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে এ কথা ঠিক। এর মূল কারণ হলো পথে পথে যে সবজি পরিবহনের চাঁদাবাজি ছিল, কারণ বাজারেও বিভিন্ন জায়গায় যে টাকা দিতে হতো সেগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে সবজির বাজারে। এজন্যই সবজি বিক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছেন। এছাড়া এলাকাভিত্তিক স্থানীয় বাজারগুলোতে শিক্ষার্থীরা এসে বাজার মনিটরিং করছে। সবমিলিয়ে আগের তুলনায় সবজির দাম বাজারে কমেছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভ্যান গাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন সোহেল আহমেদ। তিনি বলেন, আগে রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ি দিয়ে সবজি বিক্রি করতে হলে প্রতিদিন লাইন ম্যানকে দিতে হতো এলাকা ভেদে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে লাইনম্যানকে এই টাকা দিতে হচ্ছে না। এছাড়া যখন পাইকারি কারওয়ান বাজার থেকে মাল কিনে নিয়ে আসা হয় তখন কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে গাড়িতে করে রাস্তা দিয়ে আসার সময়ও বিভিন্ন জায়গায় চাঁদার টাকা দিতে হতো, এগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে আগের তুলনায় কম দামে সবজি বিক্রি করা যাচ্ছে।
যাত্রাবাড়ীতে জহিরুল ইসলাম নামের এক ভ্যান চালক বলেন, দাম কমলেও সবজি, চাল, মাছ, মাংস সবকিছুর দাম এত বেশি যে কিনে খাওয়ার উপায় নেই। আর দাম বাড়ে ১০০ টাকা কমে ১০ টাকা। তবে এখন শিক্ষার্থীরা যেভাবে বাজার মনিটরিং করছে; এভাবে নিয়মিত মনিটরিং করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করি।
মাতুয়াইল মেডিকেল রোডে এক বিক্রেতা প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা বিক্রি করছেন। নির্ধারিত দাম ৬৫০ টাকায় কেন বিক্রি করছেন নাÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেশি দরে গরু কিনতে হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি করি। তিনি জানান বাজারে পশু খাদ্যের দাম না কমলে খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করতে পারবে না। আমরাও দাম কমাতে পারবো না।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য