-->
শিরোনাম

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় দুইদিনের কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় দুইদিনের কর্মসূচি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, বিকেল ৩টায় পলাশীর মোড় থেকে ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল এবং রাতে তিথি অনুযায়ী কৃষ্ণ পূজার আয়োজন করা হবে। 

কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হাসান। এই দিন আরও উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। উদ্বোধন করবেন আরেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এই মিছিল আগের মতোই নির্ধারিত সড়ক পরিক্রমা করে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।’

সন্তোষ শর্মা বলেন, ‘আমরা পূজা অঙ্গন থেকে দানব দমনের সূচনা করছি, আজও এই ধারা অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি, আসুরিক শক্তিকে প্রতিহত করা ভগবৎ আরাধনারই অংশ। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে পশু শক্তির দাপটে ধরাধামে যখন ধর্মের গ্লানি পরিলক্ষিত হয়, অধর্মের উত্থান ঘটে তখনই সাধু-সজ্জন, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানবজাতিকে রক্ষা ও অশুভ শক্তি বিনাশে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। সত্য-সুন্দরের প্রতিষ্ঠাই ছিল ধরাধামে তার অবতীর্ণ হওয়ার কারণ।’

জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানমালায় রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

সন্তোষ শর্মা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেছি, সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। আমরা জানিয়েছি, ঢাকাসহ সারা দেশে পূজা কমিটিগুলো সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি নিজস্ব আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক দল মোতায়েন রাখবে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা দেবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস চন্দ্র পাল, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কাজল দেবনাথ, জয়ন্ত সেন ভৌমিক, জে এল ভৌমিক প্রমুখ।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version