ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মঙ্গলবার হাসানুল হক ইনুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসামির সরাসরি নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে মাহফুজুর রহমান, নাসির উদ্দিন, শ্রামীম উসমান, মো. আবু মূসা, মাঈনুদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, আবির হোসেনসহ অনেক নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা ও সাধারণ পথচারী আহত হন। ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াদুদ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে নিউমার্কেট ১ নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন। আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিউমার্কেট থানার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ প্রমুখ। নিহত ব্যবসায়ীর ভাগনি জামাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।
গত ২৬ আগস্ট উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হাসানুল হক ইনুর দল জাসদ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচনে করে হেরে যান তিনি। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৯ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ইনু।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য