ক্ষমতার পালাবদলের পর সারাদেশে পুলিশের থানা, ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে কঠোর হচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে এই বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ যাদের কাছে রয়েছে তারা যেন সেগুলো ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তথ্য জানানো হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) ইনামুল হক সাগর সাংবাদিকদের এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা/ইউনিট/ডিউটিস্থল হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। একই দিন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ হতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৮৯০টি অস্ত্র, ৯২ হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৮৮০টি টিয়ার গ্যাস সেল এবং ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের কি পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে সেই সংখ্যা এখনো জানাতে পারেনি তাদের সদর দপ্তর।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) ইনামুল হক সাগর ভোরের আকাশকে বলেন, কতগুলো অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে আমরা সেই সংখ্যা খুঁজে বের করতে কাজ করছি। খুব শিগগিরই সবাইকে সেটা এক সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশে পুলিশের থানা, ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। ওই সময় সড়ক থেকে ট্রাফিক পুলিশ সরে গেলে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্ব নেন শিক্ষার্থীরা।
এরই মাঝে নন-ক্যাডার পুলিশ সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে কর্মবিরতিতে যান। পরে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কাজে ফেরানোর উদ্যোগ নিলে তারা কাজে ফেরেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতেও দায়িত্বে নামে ট্রাফিক পুলিশ।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য