জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের কত টাকা খরচ হয়, তার হিসাব জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা ও সম্পদ ভোগ করছেন তারও তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ তথ্য হাইকোর্টে দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ‘জাতির পিতার’ পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১ অনুসারে তার পরিবারের সদস্যদের সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের খরচ নিরূপণ এবং বিশেষ সুবিধায় তারা যেসব সম্পত্তি পেয়েছেন, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (আরএসএস) সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যে যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, তা আদায়ে সংশ্লিষ্টদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রুপান্তি ও স্ক্রিস্টিয়ান পারচিকে।
রিট আবেদনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন-২০২১ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বলঅ হয়েছে, আইন দুটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ এই আইন দুটি কেবল জাতির পিতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সুবিধা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরাও অন্যদের মতো সাধারণ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য