নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন করা জরুরি। কারণ, এই দুটি প্রতিষ্ঠানে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সব সুবিধাভোগীদের বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনার শাসনামলে গঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের ‘তল্পিবাহক’ ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই দেশের বিগত রেজিম যেটি ছিল, সেটিকে পাকাপোক্ত করার জন্য যারা সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে এই ভুয়া নির্বাচন কমিশন। তারা দলদাস তল্পিবাহক একটি কমিশন। ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের গঠন করা নির্বাচন কমিশন আজও বহাল তবিয়তে বসে আছে। নির্বাচন কমিশনারদের উচিত জনগণের রোষ থেকে বাঁচার জন্য পদত্যাগ করে এই সরকারকে নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের সুযোগ দেওয়া। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুদকের যেসব কমিশনার ও কর্মকর্তারা এখনও বসে আছেন বিগত সরকারের সুবিধাভোগী। তাদেরকে বিদায় করাও জরুরি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুদকে পতিতদের আত্মীয়-স্বজন, সুবিধাভোগী লোকজনকে বসিয়ে রেখে তৎকালীন বিরোধী দলসহ দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ দুর্গত মানুষের জন্য নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছে। আমি দুদিন আগে বলেছিলাম, প্রায় ১০ কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রী বন্যাকবলিত এলাকায় সমন্বিতভাবে বিতরণ করা হয়েছিল আজ থেকে তিন দিন আগে। আমরা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেশি ত্রাণসামগ্রী এবং নগদ অর্থ দুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পেরেছি। তিনি জানান, বন্যার্তদের জন্য খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ আরও দুদিন চলবে। এরপর বিএনপি পুনর্বাসন কাজে নামবে। এর মধ্যে রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়, মানুষের বাড়িঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা, গবাদি-পশু দিয়ে সহায়তা করা, বীজ সরবরাহ করা, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই-খাতা প্রভৃতি কাজ সাধ্যমতো বিএনপির স্থানীয় নেতারা সহযোগিতায় করবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য