-->
শিরোনাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি মার্চ’ আজ

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি মার্চ’ আজ

গণবিপ্লবের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহিদি মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় সারজিস আলম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় বিভাগ ও জেলা সফর কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। বুধবার বেলা ১টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ও রূপরেখা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, আজ বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর পুরো বাংলাদেশে প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে আন্দোলনে শহিদ ও আহত হয়ে যারা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, সে সব ভাইদের স্মরণে, স্মৃতিকে ধারণ করে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে শহিদি মার্চ কর্মসূচি পালন করবেন। তিনি অনুরোধ করে বলেন, এ আন্দোলনে যে বাব-মা, ভাই-বোনেরা তাদের সন্তান হারিয়েছেন, তারা এই শহীদি মার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। আপনার যে কষ্টের ভার নিয়ে চলছেন, আমরা সেই ভারের সঙ্গী হতে চাই। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র জনতা নিজেদের জায়গা থেকে শহীদি মার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। শহীদ ভাইদের ফেস্টুন, ছবি সংবলিত বিপ্লবী বক্তব্যকে ধারণ করে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি, সেই বার্তাটা থাকবে আমাদের কর্মসূচিতে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চ কর্মসূচির রূপরেখা নিরূপণ করেন তিনি জানান, ঢাকায় শহীদি মার্চটি শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবর বিকেল ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। শহীদি মার্চের রুট হবে নীলক্ষেত হয়ে নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি দিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ অর্থাৎ সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সামনে দিয়ে জাতীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে। তিনি জনসাধারণকে এ সব পয়েন্ট থেকে শহিদি মার্চে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

এ সময় সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সবাইকে সংগঠিত করার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলবো। তারা কি চায় সেটা জানবো, আমরাও কিছু পরামর্শ দেব। এরপর মানুষ যা চায়, আমরা তা বাস্তবায়ন করব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সারাদেশে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় এখনো এসব সিন্ডিকেট চলছে। অনেক জায়গায় শুধু মাথা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সিস্টেম একই রয়ে গেছে। আমরা সব ধরনের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছি।

কাউকে আইন নিজের হাতে না তোলার আহ্বান জানিয়ে বাকের বলেন, নতুন প্রজন্ম যে বাংলাদেশ চায়, সবাইকে সে বাংলাদেশকে স্বাগত জানাতে হবে। তাই আপনারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কারও অপরাধ খুঁজে পেলে, তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। আমরা একটি আইনের শাসনের দেশ চাই। যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version