-->
শিরোনাম
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল সর্বত্রই একই চিত্র

শিক্ষক-শিক্ষার্থী আস্থার সংকটে দায় কার

শিপংকর শীল
শিক্ষক-শিক্ষার্থী আস্থার সংকটে দায় কার
  • কেউ পদত্যাগ করছেন
  • কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে
  • লাঞ্ছিত হচ্ছেন শিক্ষকরা

 

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষক এই মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর। রাষ্ট্র ও সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা সবার ওপরে। বাবা-মায়ের পরই শিক্ষকের স্থান। কিন্তু ঘুনে ধরা সমাজে আজ সেই অবস্থা নেই। মর্যাদার শিক্ষকতা পেশার মান এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর শিক্ষাঙ্গনে যা ঘটেছে তা কারও কাম্য ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ কোথাও বাদ যায়নি। শিক্ষকদের কেউ পদত্যাগ করেছেন, কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও হেনস্থার শিকার হয়েছেন শিক্ষকরা। আবার কেউ কেউ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এখনও। দেশে অতীতেও সরকার পতন হয়েছে, ক্ষমতার পালাবদলের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক কেন হঠাৎ করে এ পর্যায়ে এলো। শ্রদ্ধা-স্নেহ-ভালোবাসার সম্পর্কের বদলে পরস্পরের প্রতি কেন এমন আস্থাহীনতা। এর পেছনেই বা কারণ কী?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এর পেছনে দায়ী ঘুনে ধরা ‘রাজনীতি’, দলীয়করণ। টানা সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অন্যান্য খাতের মতো শিক্ষাঙ্গনকেও দলীয়করণ করা হয়েছে। যোগ্যতাকে মূল্যায়ন না করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দলের অনুসারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব নিয়োগ হয়েছে রাজনৈতিক অনুসারীদের। নিয়োগকৃত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-সশ্লিষ্ট বিষয়ের চেয়ে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ করে গেছেন। স্বজনপ্রীতি-দুর্নীতি করে নিজেরা বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে ভিন্নমতের শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন। দলীয় শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতো। তারা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আবাসিক হলগুলো বর্গা দিতেন। হলে ছাত্রদের সিট দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ক্ষমতাসীন ছাত্র নেতাদের কাছে। তারা এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে হলে সিট বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শে শিক্ষকরা লাল, নীল, সাদাকালোসহ বিভিন্ন ফোরাম, কোরামে বিভক্ত হয়েছেন। কোনো কোনো শিক্ষকের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থী। আবার সাহায্য চেয়েও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা পাশে পাননি দায়িত্বশীল শিক্ষককে। উল্টো নির্যাতনকারীর সঙ্গে শিক্ষকদের হাত মেলাতে দেখা গেছে কোথাও কোথাও। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর এসব শিক্ষকের প্রতি জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলেই মনে করেন অনেকে। আবার কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে; তা উচিত নয়। বিপরীত দিকও আছে যেসব শিক্ষক আন্দোলনের পক্ষে ছিল তারা বিভিন্নভাবে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে সবকিছুতেই অবক্ষয় হয়েছে। শিক্ষকরা তো সমাজের বাইরের কেউ নন। ফলে তাদের ওপরও দলীয় রাজনীতির একটা প্রভাব পড়েছে। এর ফলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাতেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারিকুলাম পরিবর্তনের নামে শিক্ষাকে নিয়ে নানা ধরনের কাটাছেঁড়া হয়েছে; যা ভালো হয়নি। তবে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করার যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা দ্রুতই বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই দলীয় অনুগতদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসন সর্বত্রই পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। কেউ স্বেচ্ছায় আবার কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। বাদ যায়নি শিক্ষাঙ্গনও। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে কলেজ এমনকি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদেও পরিবর্তন এসেছে। স্বেচ্ছায় কিছু পদত্যাগের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক শিক্ষক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কাউকে কাউকে জোর করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এতে করে দেশের ৪৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শূন্য হয়ে পড়েছে। উপাচার্য পাশাপাশি উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, ডিন, প্রক্টর ও হলের প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেছেন। কেউ স্বেচ্ছায় কেউ আবার চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কোনো কোনো শিক্ষককে বিভাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ব্যানার-পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসলে বাসায় গিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক নিজের নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। কেউ কেউ আবার ভয়ে বাসা থেকে পালিয়েছেন।

বাদ যায়নি স্কুল-কলেজও। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তায়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেন স্থানীয় কিছু লোকজন। স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীও সেখানে ছিল। পরে এলাকার ছয়জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেন তারা। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তাকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তায়জুল ইসলামের। তিনি বলেন, সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে স্কুল থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে। তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত হোক, প্রমাণিত হলে আমি স্বেচ্ছায় চলে যাব।

শুধু পদত্যাগ নয়, অনেক জায়গায় শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে অপমান করা হয়েছে। ঢাকার সরকারি আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গীতাঞ্জলী বড়ুয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন বহু শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও মিলেছে।

একইভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করেন অন্তত ৪০ জন। বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তারা অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। এ ঘটনা গত ২২ আগস্টের। পরে অধ্যক্ষ মাসুদুল হকের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা শহরের বিজয় চত্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা অধ্যক্ষ মাসুদুল হককে কলেজে ফিরিয়ে আনেন। ২০২১ সালের আগস্টে মাসুদুল হক বীরগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি মাসুদুল হক কবি, মুক্তিযুদ্ধ ও লোকসংস্কৃতিবিষয়ক গবেষক হিসেবে পরিচিত।

জোর করে পদত্যাগ করানোর হিড়িক পড়েছে ঠিক তখনি এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে; যা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

পদত্যাগের নামে সারা দেশে যা হচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। কোনো শিক্ষার্থী তার শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী হয়তো জানেই না যে তাদের ব্যবহার করে অন্য শিক্ষক এ কাজটি করাচ্ছে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য। যারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অন্যায় প্রক্রিয়ায় এ কাজগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই কোনো ভালো বিষয় না। শিক্ষকদের জায়গা তো মর্যাদার। সেটাই যদি না থাকে তাহলে শিক্ষা কিভাবে এগুবে? আগে তো আমরা এমন পরিস্থিতি দেখিনি। এবারই দেখছি, শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এর ফল কোনোভাবেই ভালো হবে না।’

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় ছাত্র পরিষদ। এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক এলাহান কবীর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক শিক্ষকদের পদত্যাগ করাচ্ছেন। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনরতদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো, নারী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের শারীরিকভাবে হেনস্তা ও বল প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো ও অপদস্ত করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।

এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক সংগঠনগুলো কী করছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আমরা মূলত কারিকুলাম নিয়ে কথা বলছি। বিগত সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আমরা সেটা পূর্ণগঠন করতে বলছি। আর শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় আমরা একটা বিবৃতি দিয়েছি, সেখানে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে কথা বলেছি। আমরা এভাবে পদত্যাগকে সমর্থন করি না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটার বিচার হতে পারে।’

পদত্যাগে বাধ্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে প্রশাসন ভেঙে পড়তে পারে : দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা ও হেনস্তার ঘটনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানাতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে দায়িত্বরতদের জোর করে পদত্যাগ করানোর সুযোগ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কারও বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন করে পদায়ন ও নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে প্রশাসন ভেঙে পড়তে পারে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পেতে অসুবিধা হবে।’

একটি সফল অভ্যুত্থানের পর সুশৃঙ্খল সমাজে ফিরে যাওয়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যে ধরনের সম্পর্ক আশা করা হয়, সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং কাউকে অপমানিত করা যাবে না।’

তিনি বলেন, অবিলম্বে ভিডিও ফুটেজ দেখে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের পুনর্বহাল করতে হবে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version