স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গত বছর এই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন, আজ মৃতের সংখ্যা একজন। এতে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়। গতকাল রোববার সকালে সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ডেঙ্গু যাতে বৃদ্ধি না পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে প্রতি শুক্রবার মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়গুলোতে প্রচার চালানো হবে। উন্নত দেশের ন্যায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গবেষণামূলক কার্যক্রম নেয়া হবে। ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সংস্কৃতি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সংবিধান ও নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচনি ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে আলোচনা হচ্ছে। তবে সেটি কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে, ছাত্র-জনতার কাছ থেকে মতামত নিতে হবে।
সংবিধান পুনর্লিখন, সংশোধন নাকি বাতিল করা হবে তা ছাত্র-জনতার মতামতের ওপর নির্ভর করবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে জিম্মি করে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে দমন করেছে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সংস্কার ১৫ দিনে করা যাবে না। এক্ষেত্রে সময় লাগবে। নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করা হবে। আগামী নির্বাচন কবে হবে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ছাত্র-জনতা ঠিক করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ নিয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার হচ্ছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। এ বিষয়ে ছাত্র-জনতারও ভূমিকা আছে। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য