শিশুদেরকে বহু ভাষাভাষি হিসেবে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহণ করতে না পারলে তাদের ডেভেলপ হতে সমস্যা হয়। তবে আমরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। এজন্য আজকের শিশুদের বহু ভাষাভাষি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে তারা দেশের জন্য আগামীতে বড় সম্পদ হয়ে উঠবে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনপর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রেসার : পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৪’ এর মূল কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। তিনি বলেন, আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়, আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি, স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা কোনো কোনো স্কুলে হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নূও জাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশের নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুজান ভাইজ প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য