ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শতভাগ আবাসিক ও হলগুলোতে প্রশাসনিক উপায়ে ১ম বর্ষ থেকে মাস্টার্সের সকল শিক্ষার্থীকে বৈধ সিট নিশ্চিতের দাবিতে উপাচার্য বরাবর ২য় বারের মত স্মারকলিপি প্রদান করেছে একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে প্রথমে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে উপাচার্য বরাবর পুনরায় স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও সেখানে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের একাধিক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। ছাত্র ফেডারেশন দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বৈধ সিটের আন্দোলন করে আসছে বলে জানা গেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে বৈধ সিট আমার অধিকার, সিট কই সিট কই, যোগ্যতা দিয়ে ভর্তি যোগ্যতা নাই আবার কী?, আবাসন সংকট মুক্ত ঢাবি চাই ইত্যাদি লেখা প্লাকার্ড দেখা যায়।
এসময় রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুর্মী চাকমা বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরদূরান্ত থেকে অাসা একজন শিক্ষার্থী এসেই যখন জনবহুল ঢাকা শহরে থাকার জায়গার সংকটে পরে তখনই তার ঢাবি নিয়ে অাশা শেষ হয়ে যায়। একজন মধ্যেবিত্ত, নিম্নবিত্ত মেয়ে কিভাবে বাইরে থাকার ৫-১০ হাজার টাকা জোগাড় করে এই নিয়ে প্রশাসন কি কখনো ভেবেছেন?"
ফারজানা তাহসিন রিমী, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, "জুলাই বিপ্লবের আগে হলে রাজনৈতিক দখলে থাকা একেক রুমে গাদাগাদি করে প্রায় ২০-২৫ জন মেয়ে থাকত প্রোগ্রাম করার বিনিময়ে। দরিদ্র -মধ্যবিত্ত মেয়ে গুলো বাধ্য হয়ে অমানবিক খাটুনির বিনিময়ে থাকতো। জুলাই বিপ্লবের পর তারা সীট হারা হয় এবং ক্লাস শুরুর অাগেই জিনিসপত্র নিয়ে হল থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসন কি ভেবেছে এক হাজার থেকে দেড় হাজার সংখ্যক এই মেয়ে গুলো কই যাবে? তারা কী রাস্তায় থাকবে?"
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী হেদায়েতুল্লাহ অাবির বলেন, "ছেলেদের হলে অামরা দেখতে পাচ্ছি যারা এতোদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক ভাবে ছিলো তারা নিজের পছন্দমতো সীট নিচ্ছে প্রশাসনকে দিয়ে। অথচ যারা অনাবাসিক তারা ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীও সীট পাচ্ছে না। অামার বাইরে থাকার খরচ জোগাড় করতে টিউশনে দৌড়াতে হলে অামি কীভাবে পড়াশোনায় দিব! কীভাবে সহ শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হবো? অপরদিকে অামাদের বোনদের হল সংকট। যেখানে মেয়েদেরই বেশি নিরাপদ জায়গার দরকার ছিলো।"
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জান্নাতি দীপার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুর্মী চাকমা(রাষ্ট্রবিজ্ঞান), শারাবান তাহুরা নিখিতা( জিওলোজি), ফারজানা তাহসিন রিমি(গণিত), হেদায়েতুল্লাহ আবির(আরবি), রিয়া মণি(ইসলাম শিক্ষা) প্রমূখ।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য