ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে হলটির কয়েকজন শিক্ষার্থী। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হলের গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নিহত যুবকের নাম তোফাজ্জল। বরগুনার পাথরঘাটার কাঠালতলি ইউনিয়নে তার বাড়ি। তোফাজ্জাল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটকের পর গেস্টরুমে নিয়ে যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে তাকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ওই যুবককে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর পুনরায় মারধর করা হয় বলে একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা রাত বারোটার একটু পরে এই লোককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে সেই শিক্ষার্থীদের আর পাওয়া যায়নি।
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে ফজলুল হল মুসলিম হলে। সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটরদের জানানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের ফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যু ঘটেছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য