-->

অধরা স্বপ্ন বাস্তব হবে কী

স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা

এম বদি-উজ-জামান
অধরা স্বপ্ন বাস্তব হবে কী

দেশের নিম্ন আদালত তথা অধস্তন আদালতের বিচারকের বদলি, পদোন্নতিসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয় আইন মন্ত্রণালয় তথা নির্বাহী বিভাগ থেকে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার আলোকেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ কাজ করা হয় বলেই ধরে নেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের বিচারক বদলির প্রতিটি প্রজ্ঞাপনেই এমন তথ্য থাকে। বিচার বিভাগের প্রশাসনিক কাজের জন্য পৃথক সচিবালয় না থাকায় আইন মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগের সচিবালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় এমনটি করা হয়। একারণেই কার্যত নিম্ন আদালতের বিচারকদের নাটাই আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে। ফলে নিম্ন আদালতের বিচারকদের কার্যত নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারের হাতে। ১৭ বছর আগে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরণ করা হলেও বাস্তবে তা অধরাই থেকে গেছে। যা প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। বিচার বিভাগ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফলে নিম্ন আদালতের বিচারকরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হতে বাধ্য হচ্ছেন।

এমন অবস্থায় গতকাল শনিবার নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ পৃথক হলেও এখানে চলছে দ্বৈত শাসন। এ কারণে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। যতদিন বিচার বিভাগ নিয়ে ‘দ্বৈত শাসন বিলোপ না হয়’, ততদিন বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না। বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় ছাড়া দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছি। তাই এই স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় করা হবে। যা সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পরিচালিত হবে। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।

শাসনের আইন নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, বিচারকদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা করা হবে। বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, শঠতা, নিপীড়ন ও বঞ্চনার হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের আদালতে দুর্নীতিকে কোন প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোন জেলা জজ যদি তার অধীনের আদালতে দুর্নীতি নির্মূলে ব্যর্থ হন সেটা তার অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থার কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে, স্বল্প সময় ও খরচে বিরোধের মীমাংসা নিশ্চিত করে জনগণ, সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। এজন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি। কেননা শাসকের আইন নয় বরং আইনের শাসন নিশ্চিত করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য আমি জরুরি ভিত্তিতে বিচার বিভাগে কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হবে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে তা দ্রুত দূর করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, আধুনিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একান্ত আবশ্যক। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৬ক অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের বিচারকরা বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা ততদিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না; যতদিন না বিচার বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটি হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রথম ধাপ। সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদে হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা থাকবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এই অনুচ্ছেদের বুনিয়াদে সংবিধানের কোনো সংশোধন না করেই শুধু রুলস অব বিজনেস এবং বিচারকদের নিয়োগ, কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, বরখাস্তকরণ, শৃঙ্খলা বিধান ইত্যাদি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত যেসব বিধিমালা প্রচলিত রয়েছে সেগুলোতে প্রদত্ত 'উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ'-এর সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে সেখানে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় এর সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করলেই সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় তথা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পথে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।

এছাড়াও জেলা আদালতগুলোর বাজেট বরাদ্দের বিষয়টিও তখন বিচার বিভাগীয় সচিবালয় হতেই নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ন্যায়বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তুতক্রমে আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করব। উক্ত প্রস্তাব বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মঞ্চে উপবিষ্ট আইন উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এ সময় মঞ্চে ছিলেন। প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিচার বিভাগ নিয়ে নানান আলোচনা। সংগত কারণেই সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নাম উঠে আসছে। তিনি বিচার বিভাগ নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এস কে সিনহা।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আদেশ দিয়েছিলেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওই নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করেনি সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, অপসারণ, বরখাস্ত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে চারটি বিধিমালা তৈরি করে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগ করছে। বিচারকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো করা হয়েছে। এর আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবর্তে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। কিন্তু ওই রায়ের আলোকে আজ পর্যন্তু পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করেনি নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আলাদা সচিবালয় কার্যক্রম উদ্বোধনের জন্য দিন নির্ধারণ ও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠির জবাব পাননি সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বিচার বিভাগের প্রশাসনিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা হয়নি। আইন মন্ত্রণালয় বর্তমানে বিচার বিভাগের সচিবালয়ের দায়িত্ব পালন করছে। আলাদা সচিবালয় গঠিত না হওয়ায় বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিসংক্রান্ত সব কিছু আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এ কারণে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। কর্মে সিনিয়রদের ডিঙিয়ে জুনিয়রদের উচ্চ পদে বসানোরও অভিযোগ রয়েছে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নিয়ে পদোন্নতি ও বদলি করছে আইন মন্ত্রণালয়। ফলে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পূর্ণাঙ্গ সুফল ভোগ করতে পারেননি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা।

পৃথক সচিবালয় না থাকায় নানা সমস্যায় জর্জরিত বিচার বিভাগ। আবাসন ও পরিবহন সমস্যারও সমাধান হয়নি। এ জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের কোনো নীতিমালা নেই। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানাপড়েন ছিল অনেক বছর ধরেই। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে রেখে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে তা সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেছিল আইন মন্ত্রণালয়। তখনকার প্রধান বিচারপতি এসে কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত এক রায়ে রাষ্ট্রপতির বদলে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ক্ষমতা নেওয়ার পক্ষে মতামত দেন। এনিয়ে সরকারের সঙ্গে এসে কে সিনহার টানাপড়েনের জেরে তাকে বিদায় নিতে হয়। কারণ সরকারের সবচেয়ে বড় আপত্তির জায়গা ছিল নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পক্ষে রায় দেন। যদিও এসে কে সিনহার পদত্যাগের পর ওই ববছরের ১৬ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তখনকার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ওই বৈঠকেই নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের সমঝোতা হয়। এরপর নতুনভাবে বিধিমালার খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়। ওই খসড়া সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর পর সুপ্রিম কোর্ট তাতে মতামত দেন। এরপর ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর সরকার বিধিমালা জারি করে। এই বিধিমালায় থেকে যায় শুভঙ্করের ফাঁকি। যে ফাঁকে কার্যত নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রন থেকে যায় নির্বাহী বিভাগের হাতে। একারণেই বিগত আওয়ামীলীগ সরকার যেভাবে চেয়েছে নিম্ন আদালতের বিচারকরা সেভাবেই আচরণ করেছেন।

কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরবর্তীতে তখনকার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের অপর ৫ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর ওইদিনই হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন ১১ আগষ্ট প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এমন অবস্থায় গতকাল নিম্ন আদালতের বিচারকদেও উদ্দেশ্যে অভিভাষন দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি তার ভাষণে বিচার বিভাগের ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছেন এবং সামধানের পথও বাদলে দিয়েছেন। যা ধরা হচ্ছে বিচার বিভাগের রোডম্যাপ হিসেবে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version