বিশ্ব নৌ দিবস-২০২৪ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে নৌ খাতের অবদানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতিবছর বিশ্ব নৌ দিবস পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এর মূল আয়োজক নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা নৌ পরিবহন অধিদপ্তর (ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং বা সংক্ষেপে ডস)। নৌ পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে নৌ খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডস প্রতিবছর দিবসটি পালন করে।
বিশ্ব নৌ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘নেভিগেটিং দ্য ফিউচার : সেফটি ফার্স্ট’। আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে আইএমও)। নৌ খাতের বৈশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রতিবছর আলাদা প্রতিপাদ্যটি নির্ধারণ করা হয়। নৌ নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূল কনভেনশন (সোলাস কনভেনশন) ১৯৭৪ এর ৫০ বছর পূর্তিতে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা, সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা এবং নৌ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রতিপাদ্যটি আইএমওর অবদানকে প্রতিফলিত করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
দিবসটি উদযাপনে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনাসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যথাক্রমে নৌ পরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার মহাসচিবের ধারণকৃত বাণী প্রচার, মূলপ্রবন্ধ ও বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কারিগরি পেপার প্রেজেন্টেশন এবং মেরিটাইম সেক্টরে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য