দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল। কেজিতে দাম ২ টাকা কমে তো ৩ টাকা বাড়ে। এ অবস্থা চলছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু হঠাৎ ফের বাড়ছে সবজির দাম। এজন্য বন্যাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নীচে কোনো সবজি মিলছে না।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার প্রভাব পড়েছে সবজি এবং নিত্যপণ্যের বাজারে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সবজির উৎপাদনও কিছুটা কম। অনেক সময় পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়াতেও দাম বাড়ছে। একমাস পরে শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করবে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশকিছু সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল, আটা, মাছ, চিনি ও ডাল। দাম বেড়েছে ডিম ও মাছের।
কিছুদিন আগেও ডিমের বাজার অস্থির ছিল। এরপর সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এর প্রভাব বাজারে পড়েনি। প্রতি ডজন ডিম খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে স্থান ভেদে দাম কিছুটা হেরফের হচ্ছে। ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থান ও মান ভেদে প্রতিকেজি করলা ৮০-৯০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা; বেগুন ৮০-৯০ টাকা; পটল ৫০-৬০ টাকা; বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১২০ টাকা; চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা; ঝিঙা ৮০-৯০ টাকা; কচুর লতি ৭০-১০০ টাকা; কচুর মুখী ৫০-৭০ টাকা; গাজর ১৫০-১৬০ টাকা; শসা ৬০-৭০ টাকা ও কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০ টাকা; লাউ শাক ২০-৩০ টাকা; পালং শাক ২৫-৩০ টাকা; কলমি শাক ১৫-২০ টাকা; আলু শাক ১০-১৫ টাকা আঁটি বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া লেয়ার ও সোনালি জাতের মুরগির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০টাকা; পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা; রূপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ইলিশ মাছ আকার ভেদে ৭০০ থেকে ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য