-->
পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে

ভারতের সঙ্গে শিগগির আলোচনার উদ্যোগ

বিশেষ প্রতিবেদক
ভারতের সঙ্গে শিগগির
আলোচনার উদ্যোগ

বাংলাদেশের পানির অধিকার ও ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জনগণের কথা শুনে এ আলোচনা করা হবে এবং ফলাফলও জনগণকে জানানো হবে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেছেন।

‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়টি জটিল হলেও জরুরি তথ্য ভাগাভাগি রাজনীতি নয়। কোথায় কোথায় অবকাঠামো আছে, কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে, দুই দেশ তা জানাতে পারে। সে ক্ষেত্রে জানমালের ক্ষতি ও অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে একটা দেশ এককভাবে যেতে পারে না, দুটো দেশকে যেতে হয়। বৃষ্টির পানির তথ্য শেয়ার করা ইস্যুটি মানবিক। মানুষকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।’

বাংলাদেশের দাবি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হবে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শুধু আন্তর্জাতিক নদীর হিস্যাই নয়; অভ্যন্তরীণ নদীগুলোকেও বাঁচাতে হবে। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা; তাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস। পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মো. এজাজ। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদাসহ অন্যরা।

এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, পরিবেশবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ নেন। বক্তারা অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা নদী ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ, সঠিক পানির হিসাব এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনা আরও জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version