-->
যমুনা গ্রুপ কর্তৃক জমি দখলের অভিযোগ

দখলকৃত জমি ফেরত চান সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থী

ঢাবি প্রতিনিধি
দখলকৃত জমি ফেরত চান সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থী

গাজীপুরের শফিপুরের শিল্প এলাকায় যমুনা গ্রুপ কর্তৃক অবৈধভাবে দখল হওয়া ৩০ শতাংশ জমি ফেরত চাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার খানম।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে (ডুজা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুন্নাহার খানম বলেন, যমুনা গ্রুপ আমার ৩০ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। তারা যখন জমি দখল করে তখন আরো কিছু লোকের জমি দখল করে। সে সময় আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সেখানে ২০০ থেকে ৩০০ সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমনে আমরা প্রাণের ভয়ে সরে যাই। পরবর্তীতে দখলকৃত জমিতে "যমুনা ইলেকট্রনিক্স" কোম্পানী করার পরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের সাথে আমরা স্বপরিবারে দেখা করে জমির দাবি করি। তখন উনি দলিল দেখে বললেন, উনার ল্যান্ড এর জিএম আব্দুল কাদের সাহেবের সাথে কথা বলতে।

তিনি আরও বললেন,'আপনার জমি যদি আমার কোম্পানীর মধ্যে থাকে তাহলে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে।' আমরা কাদের সাহেবের সাথে দেখা করলাম। উনি বললেন, 'আমি একটু চেক করে আপনাদের জানাব দুইদিন সময় দেন'। আমি দুইদিন পরে যোগাযোগ করলাম কাদের সাহেব বললেন, আমাদের কোম্পনীতে আপনাদের জমি আছে। আপনি জমির নামাজারি, জমির খতিয়ান এগুলো নিয়ে আসেন। তখন আমরা রেজিস্ট্রি নিয়ে আপনাকে টাকা দিব। আমি ২০১৭ সালে মার্চ বা এপ্রিল মাসে ওনাকে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেই। তখন উনি নূরুল ইসলাম বাবুলের কাছে যান জমির দাম নির্ধারণ ও রেজিষ্ট্রির তারিখ নেওয়ার জন্য। তখন নূরুল ইসলাম বাবুল ৩০ শতাংশ জমি ৩ লক্ষ টাকায় রেজিস্ট্রি দেওয়ার কথা বলে। এটা শুনে আমি হতবাক হয়ে যাই এর পরে জিএমকে বলি, আমার স্বামীকে না বলে এত কম টাকায় আমি জমি দিবোনা।

তিনি আরও বলেন, নূরুল ইসলাম বাবুল করোনায় মারা গেলে আমি জিএম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বলি যে, আমার জমির কি করবেন? তখন উনি বললেন, আপনি কাগজ পত্র নিয়ে আসেন। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আমি আবার যোগাযোগ করি। তখন তিনি আমাকে না চেনার ভান করে এবং জমি অর্ধেক আছে সেটা বলে আমাকে পাঠিয়ে দেয়। অবশেষে গত মার্চ মাসের র‍্যাবের ডিজি সাহেবের সহায়তায় আবার যমুনার অফিসে যাই। তখন জিএম বলে আপনার তিন দাগ জমি আছে সেটা আমরা নিতে পারব। ম্যাডামের সাথে কথা বলি। একজন পরিচালক আমার জমির দায়িত্ব নিলেন এবং নূরুল ইসলাম এর মেয়ে মনিকা ম্যাডামের কাছে গেলেন। আমি উনাকে বললাম, আমার জমিটায় কোম্পানী করছেন এর জমির মূল্য বেশী আমাকে শতাংশ প্রতি ২০ লক্ষ করে দিবেন। পরিচালক ম্যাডামের কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেলেন। কিন্তু তিনি এই প্রস্তাবে রাজি নয়, সে তখন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে শতাংশ দিবে এর বেশি পারবেনা বলে জানায়।

ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার প্রশ্ন তুলে ও সমস্যার সমাধান চেয়ে বলেন, আমি জানতে চাই শিল্প এলাকায় জমির এত কম মূল্য হয়? আমি আমার ৩০ শতাংশ জমি চাই। কারণ, আমার স্বামী-খুবই অসুস্থ (প্যারালাইজড)। আমার দুইটি মেয়ে আছে। তাদের ভরণ পোষণ, লেখা পড়া এবং আমার স্বামীর চিকিৎসা করানোর কোন অর্থ নেই। আমি অত্যন্ত অসহায়ভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই জমিটা উদ্ধার করতে পারলে আমি স্বস্তিতে জীবন যাপন করতে পারব। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ চাই।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version