- শনিবার গভীর রাতে দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস
- প্রধান উপদেষ্টাকে ঘিরে বিশেষ নজর ছিল সবার
- ১২ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং সংস্থা প্রধানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের ৪০টি পার্শ্ববৈঠকে অংশ নেন
- শতাধিক বৈঠকের আবদার রক্ষা করতে পারেননি
- সংস্কার কাজে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
- নতুন ঋণ দিতে আইএমএফের আগ্রহ প্রকাশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবার ছিল ইউনূসময়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণের যা কিছু ঘটেছে, এমন সুখ স্মৃতি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে আর ঘটেনি। সব প্রটোকল ভেঙে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন বৈঠক করেছেন ড. ইউনূসের সঙ্গে। যা শুধু বাংলাদেশের জন্য গৌরবের নয়, ঐতিহাসিক কূটনৈতিক বিজয়ও। জাতিসংঘে ড. ইউনূস বিশ্বনেতাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও নিউইয়র্কে একাধিক অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ সবার নজর কেড়েছে। সবখানেই তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। অনেককেই লাইন ধরে তার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে আলিঙ্গন করেন তিনি। সেই সঙ্গে আপ্লুত পিটার হাস হাসি মুখে ছবিও তোলেন। জাতিসংঘে সরব উপস্থিতি ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক সবার নজর কেড়েছে। কথা বলেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন নিয়ে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কানাডা ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ প্রেসিডেন্ট সবাই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জোরালো আশ্বাস দিয়েছেন। এক কথায় সবার সবর উপস্থিতি ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে শনিবার গভীর রাতে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্য দিয়ে দেশের ভেতরে-বাইরে ড. ইউনূস বিরোধীরা একটা বড় বার্তা পেয়েছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক ও কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। তাদের অভিমত, বলছেন প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনকে ঘিরে বিশেষ নজর ছিল সবার। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বৈঠক বিরল ঘটনা। আর বক্তব্যে উপস্থাপন করার পাশাপাশি দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রায় সব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্বনেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজনীতিবিদ না হলেও অধ্যাপক ড. ইউনূস বিশ্বনেতাদের কাছে পরিচিত মুখ হওয়ায় অধিবেশনে বাংলাদেশের গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ড. ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বনেতাদের বুকে টেনে নেওয়ার দৃশ্যের মধ্যেও বেশ আন্তরিকতা ও ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনি গুতেরেস, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাই কমিশনার, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, ইউএসএইডের প্রশাসকসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকসহ অন্তত ৪০টি অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করে সবার নজর কেড়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের বাণিজ্যিক একটি ফ্লাইটে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের সবচেয়ে সফলতম সফর ছিল এবার। সফরকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনসহ ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি উচ্চপর্যায়ের ৪০টি পার্শ্ববৈঠকে অংশ নেন। সকাল ৮টায় শুরু হতো তার বৈঠক। এরপরও প্রায় শতাধিক বৈঠকের আবদার রক্ষা করতে পারেননি।
শফিকুল আলম আরও বলেন, তিনি বলেন, এবারের সবচেয়ে আকর্ষণ ছিল ইউনূস-বাইডেন বৈঠকটি। যা ছিল ঐতিহাসিক। কারণ, জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষনেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো বৈঠক হয়নি। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলিঙ্গন করেছেন তা বিরল। বাইডেন নিজ থেকে বাংলাদেশে কী কী সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়া প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তার সরকারের পূর্ণ সমর্থন বাংলাদেশ পাবে বলেও জানান। দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বিরল ওই বৈঠকের পর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।
বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার আশ্বাস
জাতিসংঘ অধিবেশন এবং তার ফাঁকে যার সঙ্গেই বৈঠক হয়েছে, সেখানে অর্থনৈতিক সহায়তা ও বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের পাশে থাকার আহ্বানকে এগিয়ে রাখছেন। এরই মধ্যে প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছেন বলে জোর আলোচনা চলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ সফরে এবার ড. ইউনূস বৈঠক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে। বৈঠকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সংস্কারে খরচের জন্য সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে একেবারে নতুন ঋণ হিসেবে আর বাকি দেড় বিলিয়ন ডলার দেবে আগের প্রকল্পগুলো চালিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে। মোটাদাগে সরকার এই অর্থ ডিজিটাইজেশন, তারল্য সহায়তা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং পরিবহনে খরচ করতে পারবে।
ইউনূস বৈঠক করেছেন আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েবার সঙ্গে। এমন একসময় তিনি আইএমএফ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন, যখন ঋণ দেওয়ার জন্য সংস্থাটির একটি মিশন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। এর পরও সংস্থাটি ড. ইউনূসের নেতৃত্বের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আরো তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চায়। আইএমএফ মনে করে, একটি বিশেষ সময়ে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার অনেক খাতে সংস্কার করবে। এ জন্য তারা পাশে থাকতে চায়। আইএমএফ প্রধান ড. ইউনূসকে তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতেও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। সাধারণ এ অর্থ বাজেট সহায়তা হিসেবে সরকার খরচ করতে পারবে বলে অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডলার সংকট কাটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেকোনো মূল্যে ডলারের মজুদ বাড়াতে চাচ্ছে। নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। বরং রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়িয়ে ডলারের মজুদ বাড়াতে চাচ্ছেন। এরই মধ্যে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সংকটময় সময়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এক সফরেই পৌনে সাত বিলিয়ন ডলার জোগাড়ের আশ্বাস পাওয়া খুবই আশা জাগানিয়া।
জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ট্যুরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং উইসহ বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সবাই কমবেশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে একটি বড় বিনিয়োগের সোলার উৎপাদন প্লান্ট বসাতে চান বলে প্রস্তাব দেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সোলার প্যানেল বানিয়ে সারা বিশ্বে রপ্তানির লক্ষ্য চীনের। এর ফলে এখানে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়বে। বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে। চীন মনে করে, সোলার প্যানেলে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় রপ্তানিকারক হতে পারবে।
ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা দেশটির বিপুল জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি জ্বালানি, পর্যটন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউএসএইডের প্রধান সামান্তা পাওয়ার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। বিল ও মেলিন্ডা গেটসের সিইও মার্ক সুজম্যানও বৈঠক করেছেন। তিনিও পাশে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন।
প্রায় প্রতিটি ফোরামে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে সহায়তার আহ্বান জানান। যারাই তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তাদের প্রায় সবাই আন্তরিকভাবেই বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করেন, ড. ইউনূসের প্রতি যে ইতিবাচক মনোভাব বিশ্বনেতারা দেখাচ্ছেন, তার ফলে সামনে এর সুফল পাবে দেশের অর্থনীতি।
বিশ্লেষকরা যা বলেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক, ড. ফরিদুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন রাজনীতির পরিচিত মুখ। বৈঠকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ড. ইউনূসকে বুকে টেনে নেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার নিয়ে ধারণা নেন এবং সবশেষে ড. ইউনূস সরকারের ওপর তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ থাকা জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়া। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরে কিছু আর্থিক সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেলেও সেটা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় এবং বাণিজ্যিক ও কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা যায়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার আশ্বাসে বোঝাই যাচ্ছে যে, ড. ইউনূস সেখানে বেশ সমীহ পাচ্ছেন। তাকে সবাই আগে থেকে চেনেন, নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। তবে এবার তিনি একটি বাড়তি পরিচয় নিয়ে সেখানে গেছেন। সেটি হলো বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বগুণে উচ্চপর্যায়ে একটি সাফল্য পাওয়া গেছে। এখন এই ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। আর্থিক খাত, জ্বালানি খাত, রাজস্ব খাত, ব্যাংকিং নীতিমালাসহ বেশ কিছু জরুরি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য একটি সময়োপযোগী কর্মসূচি তৈরি করে তাদের দিতে হবে। অর্থ বিভাগকে এখন এটি করতে হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য