-->

বন্যার্তদের সহায়তায় জরুরী নির্দেশনা ছাত্রদলের

ঢাবি প্রতিবেদক
বন্যার্তদের সহায়তায় জরুরী নির্দেশনা ছাত্রদলের

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে বন্যাদুর্গত মানুষকে উদ্ধার, জানমালের নিরাপত্তা ও ত্রাণ সাহায্য বিতরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই জরুরি নির্দেশনা দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ পরিচালনা ও বন্যার্তদের সহযোগিতা প্রদান এখনও পর্যাপ্ত নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের সকল শাখার নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোন দুর্যোগে, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে এক‌টি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ এই বন্যায় মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় এবং ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা গুলো হলোঃ

১. সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। গবাদি পশুগুলোকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা

২. উদ্ধারকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা

৩. স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শক্রমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা

৪. শুকনো কিংবা রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, ফিটকিরি/ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রস্তুত রাখা

৪. যারা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন তাদের বাড়িঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয়দের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা

৫. বন্যা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা

৬. সকল ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অগ্রাধিকার প্রদান করা

৭. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সহায়তার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা

৮. বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পুনর্নির্মাণসহ যাবতীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা এবং

৯. বন্যা পরবর্তী সময়ে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেজন্য ইউনিটভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version