-->

শিক্ষার্থীদের মারধর মহাসড়কে বিক্ষোভ

হেলাল সাজওয়াল
শিক্ষার্থীদের মারধর
মহাসড়কে বিক্ষোভ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল রোববার শিক্ষার্থীরা ৬ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন এই সড়ক ব্যবহারকারীরা।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রাবাড়ী থানায় দুয়েকদিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে- এ উপলক্ষে ওয়ারি জোনের ডিসি কমিউনিটি পুলিশ ও নাগরিকদের নিয়ে একটি সভা আহ্বান করেন। গত শনিবার ওই সভায় ডিসির উপস্থিতিতে স্থানীয় ছাত্রদের দুগ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বারবার সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। তবে অবরোধকারীরা অস্বীকৃতি জানায়। তাদের দাবি, হামলাকারী শান্ত, ইমরান ও আশিকুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করতে হবে। যেহেতু ডিসির উপস্থিতিতে মারধরের ঘটনা ঘটেছে; এ কারণে তাকে এখানে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের প্রশ্ন যখন তাদেরকে মারধর করা হয়; তখন প্রশাসন কেন বাধা দেয়নি। তবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি। সেনাবাহিনীর একটি দলও বিক্ষোভকারীদের বোঝাতে চেষ্টা করে কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দুপাশে আটকেপড়া যানবাহনের যাত্রীরা। ঘটনাস্থলের দুপাশে মহাসড়কে অন্তত ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির জট তৈরি হয়। তীব্র গরমের মাঝে মানুষের কষ্টের শেষ ছিল না।

বিকেল সোয়া ৪টার পর পুলিশ-সংবাদ কর্মী এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে একটি অংশ আবারও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে একদল ছাত্র এসে তাদেরকে প্রতিহত করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

গাড়ি চালক মো. ইসমাইল ভোরের আকাশকে বলেন, আমি কুমিল্লা থেকে গাড়ি নিয়ে এসেছি। সকাল ১০টা থেকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের আর কী বলার আছে?

পূজা উপলক্ষে মাদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য দুই সন্তান নিয়ে এসেছেন মহুয়া রানী দেবনাথ। তিনি বলেন, সকাল থেকে বসে আছি; কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে গাড়ি চলছে না।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ফারুক জানান, আমি সব সময় ছাত্রদের পক্ষে। এরা সবাই আমাদের সন্তান। গত শনিবার নাগরিক সভায় একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে; যা দুঃখজনক। আমাদের সবাইকে আরও সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। আমরা যানজট নিরসনে চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ারি জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার ভোরের আকাশকে বলেন, এটি তেমন কোনো ঘটনা না। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক একটি নাগরিক কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলাম; সেখানে স্থানীয় দুগ্রুপের কথাকাটাকাটি হয়। এছাড়া কিছুই নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা শুধুই আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version