সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশে বিদেশি অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তা ও শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত। সরকারের উচ্চমহল থেকে বারবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তাদের কাজে ফেরানো যাচ্ছে না। এরফলে চলমান প্রকল্পগুলোর গতিও কমেছে ব্যাপক, অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে এসব প্রকল্পের কাজ। অনেক প্রকল্পের কাজ তো একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নকারী দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। একই সঙ্গে এসব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকেরাও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কিছুটা অনীহা ব্যক্ত করছেন। তাদের এ পদে রাখা হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান তারা। কিছুটা নিরাপত্তার অভাবও বোধ করছেন কেউ কেউ। এসব কারণেই প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বিদেশি অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের কাজ অপরিবর্তিত থাকবেÑ সরকারের অর্থ উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বারবার এমন আশ্বাস দেয়া হলেও কাজে গতি আনা যাচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবে প্রকল্পগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারাও অনেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে চীন, ভারত, জাপান ও কোরিয়ার প্রকল্পই বেশি বলে জানা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশে চলমান ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়ার প্রকল্পের বিষয়ে বর্তমান ইউনূস সরকারের মনোভাব জানতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন বাংলাদেশে কর্মরত এসব দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা। এসব দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান তাদের দেশের প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ দেশে কর্মরত তাদের দেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও আলাপ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের এসব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারপরও গতি ফেরেনি এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল-নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারতীয় অর্থায়নে ঢাকা-টঙ্গী রুটে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর রুটে দ্বিতীয় লাইন নির্মাণকাজসহ ভারতীয় এলওসির আওতায় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ গত ৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই বা বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন না করেই প্রকল্পগুলো হাতে নেয় সরকার। নকশা ও টেন্ডার জটিলতা, দুর্বল পরিকল্পনা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এসব প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ঠিকাদারি ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ৫০ জনেরও বেশি ভারতীয় গত ৫ আগস্টের পরে বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থায়নে একটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পের অধিকাংশ পিডি পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রকল্প কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই-তিন দিন পর ভারতীয় হাইকমিশনের নির্দেশে ভারতীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর সঙ্গে জড়িতরা ঢাকা ছেড়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতের বক্তব্য হচ্ছে, কিছু প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই আমরা ঢাকার সঙ্গে কথা বলবো।
এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে চলমান কোনো প্রকল্পই স্থগিত হয়নি। ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় চলমান প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিদ্যমান সব বড় প্রকল্পের কাজ চলবে। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় ভারতের সঙ্গে আরও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছিলেন, ভারতীয় ঠিকাদাররা দেশে ফিরে প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু করবেন।
এদিকে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চলমান ৭৬টি প্রজেক্ট নিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বাংলাদেশ ও জাপান। জাপানি অর্থায়ন কিংবা সহায়তায় চলমান থাকা বেশ কিছু প্রজেক্টের ব্যয় এবং সময় বাড়ানোর খবর ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে। কিছু প্রজেক্টের কাজ আবার প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছেন, সরকার পরিবর্তনের পরে এসব প্রকল্পের কাজ থেমে আছে। ইআরডির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানি অর্থায়নে প্রকল্প চলছে ১২টি। টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রকল্প রয়েছে ৩৬টি। এই ৩৬টি প্রজেক্টের মধ্যে জাপান সরকারের অর্থ যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশ সরকারের অর্থও আছে। এসব প্রকল্পের কাজও থেমে আছে। জাপান বর্তমান ইউনূস সরকারের কাছে বাংলাদেশে চলমান তাদের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের নিশ্চয়তা চেয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এসব প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা প্রকল্পে অনুপস্থিত রয়েছেন। পাশাপাশি জাপান বলেছে, বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পে সাহায্য অব্যাহত থাকবে। বর্তমান সরকার ও চলমান প্রকল্পে সব ধরনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাপানি রাষ্ট্রদূত এ প্রতিশ্রুতি দেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চলমান জাপানি যে প্রকল্পগুলো চলছে সেগুলো চালু থাকার নিশ্চয়তা চেয়েছে। আমি বলেছি প্রতিটি প্রকল্পই চলবে। জাপানি রাষ্ট্রদূতকে এ ব্যাপারে আশ্বাসও দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অন্তত ৯টি খাতে কাজ করছে জাপান। এগুলো হচ্ছেÑ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবহন, নগর উন্নয়ন, সুশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ও দুর্যোগ প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ।
এদিকে বাংলাদেশে চলমান চীনা প্রকল্পগুলোরও একই অবস্থা। ৫ আগস্টের পর থেকে এসব প্রকল্পে কর্মরত চীনা প্রকৌশলী এবং শ্রমিকরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে চীনের চলমান প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই সরকার খরচ কম করে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে গ্রাহক সেবার ওপর জোর দিচ্ছেন। সড়ক, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পগুলোতে চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, চীনা প্রকল্পে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এখন সেখানে পুরোপুরি কর্মপরিবেশ বিদ্যমান। আশা করছি দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।
একইভাবে বাংলাদেশে চলমান কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পেও বাস্তবায়নের গতি কমেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার অভাবে শ্রমিকরা কাজ করছেন না। তারা প্রকল্প এলাকায় স্বস্তি অনুভব করলেই প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কোরিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেয়ার প্রতীক্ষায় আছে কোরীয় দূতাবাস। এ দেশে চলমান কোরীয় প্রকল্পগুলো সাবলীলভাবে চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বিদেশিদের জন্য ব্যবসা সহায়ক ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিকে অগ্রাধিকার দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দেন।
দেশে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতু। তবে পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্প এখনও অসম্পূণ। গত জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পটিতে খরচ হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৬৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, আর ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে মোট ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর। প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৮১ কোটি ২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে রাশিয়ার ঋণ ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। আর রাজধানীর মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পের উত্তরা-আগারগাঁও অংশে স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর এর উদ্বোধন করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত সময়ে জনগণের চলাচলের জন্য খুলে যায় এ অংশটি। পরবর্তী সময়ে মতিঝিল পর্যন্ত অংশও খুলে দেয়া হয়। এখন নিয়মিত উত্তরা-মতিঝিল ট্রেন চলাচল করছে। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ। ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি ৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জুলাই পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৮০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, আর্থিক অগ্রগতি ৮৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৮২ শতাংশ। দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গত জুলাই পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (১২টি প্রকল্পযুক্ত) প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ২০ শতাংশ। এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য একাধিক প্রকল্প পরিচালককে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। যাদের পাওয়া গেছে তারা কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তারা শুধুই বলেছেন, দেখি কী হয়।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য