-->
শিরোনাম

‘যেই লাউ সেই কদুু’

হেলাল সাজওয়াল
‘যেই লাউ সেই কদুু’

রাজধানীর মিরপুর-১৩’র ন্যাম গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসিন্দা সানজিদা বেগম। গতকাল সোমবার মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারে এসেছিলেন সবজি কিনতে। তাজা সবজির সুখ্যাতি রয়েছে এই বাজারের। পণ্যের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম যা কমেছে; সেটা হিসেবে ধরার মতো না। পাঁচটার দাম কমেছে তো অন্য পাঁচটার বেড়েছে। ঘুরে ফিরে যা ছিল তা-ই আছে। বলতে পারেন ‘যেই লাউ সেই কদু’র মতো অবস্থা। সানজিদার মতো একই ধরনের কথা বলেছেন অনেকেই। তারা সবাই পণ্যের ঊর্ধ্ব মূল্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মাসখানেক ধরে লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার কিছুটা সহনীয় অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। গত দুই তিনদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। প্রতিকেজি করলা ও পটল গতকাল মিরপুর-৬ বাজারে ৭০-৮০ টাকা; আলুুুু ৬০ টাকা; টমেটো ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। এরই মধ্যে শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু হয়েছে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। ফুল কপি ও বাঁধা কপি প্রতিটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। কিছুদিন আগেও প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি ১০০ টাকার বেশি ছিল। এদিকে ডিমের দামও কমতে শুরু করেছে। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও এর দাম ছিল ১৮০ টাকা। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দাম ১৪২ টাকা ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে না। মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারের শুভেচ্ছা পোলট্রির মালিক মো. সোহেল জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। এই দাম সপ্তাহের চেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে দাম ছিল ১৮০- থেকে ১৯০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। সেখানকার চাল ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে; সেটার প্রভাব এখনও বাজারে পড়েনি। সব ধরনের চাল এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ইরি-২৮ চালের দাম বেশি বেড়েছে; আগে ৫০ কেজির প্রতিবস্তা আমরা ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা কিনতাম। এখন বস্তাপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেড়ে গেছে। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় ইরি-২৮ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এছাড়া মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০-৮০ টাকা, পারিজা ৫৫-৬২ টাকা এবং লতাশাইল ৬৩-৭০ টাকা। দেশি মশুরের ডাল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা, বিদেশি ১১০ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা এবং ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আনসার মিয়া বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার পর ভেবেছিলাম দাম কমবে; কিন্তু দাম না কমে বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version