-->

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক কমিটি; নেতৃত্বে হাসনাত

ঢাবি প্রতিবেদক
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক কমিটি; নেতৃত্বে হাসনাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন (আহ্বায়ক) কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ছাড়া বাকিরা হলেন-সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

এই কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে সারজিস বলেন, সারাদেশে ভুয়া সমন্বয়কের নামে অনেক অপকর্ম হচ্ছে। মূলত এটাকে রোধ করতে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করছি। যারা আমাদের মধ্য থেকেও এ ধরনের অপকর্ম করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই আমাদের কমিটিতে পুর্নগঠন প্রয়োজন। তাছাড়া আগামীতেও অনেক কাজ রয়েছে, যা বাস্তবায়নে সারাদেশের জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, এই চারজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সারাদেশে কাজ করবে। পরবর্তীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। তিনি বলেন, সদ্যগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটি শুধু জেলা-উপজেলা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সুসংগঠিত করতে কাজ করবে।

আহবায়ক হিসেবে নিজের কার্যক্রম সম্পর্কে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথমত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিরুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলো তাদেরকে সংগঠিত করে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া। দ্বিতীয়ত মুজিববাদ ও মুজিববাদী শক্তির যতগুলো অপশক্তি রয়েছে তারা যে ফর্মেই আসুক না কেন তাদেরকে এই বাংলার মাটি থেকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য একজন আহবায়ক হিসেবে আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাবো। তৃতীয়ত ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তার জন্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ও জেন-জি দের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তরান্বিত করার জন্য কাজ করবো।

প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার ৫ দফা দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এসময় তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের উত্থাপিত দাবির মধ্যে রয়েছে- অনতিবিলম্বে ৭২ এর সংবিধান বাতিল করতে হবে। সে জায়গায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে; এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং তাদেরকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে; এই সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করতে হবে; জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে ‘২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এসব নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

একইসঙ্গে তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে ও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

চলতি বছরের জুলাইয়ের শুরুকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরবর্তী সময় এই সংগঠনই সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর গঠন হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version