আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তুর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এয়াত সাড়ে ৮টা থেকেই তারা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলো। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবর পেয়েই তারা আনন্দে মেতে ওঠে এবং ভিসি চত্বর থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজউ ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা মুজিববাদ মুর্দাবাদ-ইনকিলাব জিন্দাবাদ, এই মুহুর্তে খবর এল-ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো, একটা একটা লীগ ধর-ধরে ধরব জেলে ভরসহ নানা স্লোগান দেয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লিয়ন বলেন, ছাত্রলীগ শুধু ছাত্র নামটা ব্যবহার করেছে। সেখানে কোনো ছাত্র ছিলো না। জুলাই আন্দোলনে হলে হলে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ঢুকে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি ছাত্রলীগের মত আচরণের চেষ্টা করে তাদেরও একই পরিণতি হবে।
আরেকজন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, আমরা ছাত্রলীগকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে পেরেছি। আমরা সারাদেশে মিষ্টি বিলাতে চাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
সমন্বয়ক হাসিব বলেন, আজকে খুনি হাসিনাও নাই, কাদেরও নাই। ছাত্রলীগকেও আজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মধুর ক্যান্টিনে পাঁচ মিনিটের মিছিল দিয়ে তারা আজ পালিয়ে গিয়েছে। তাদেরকে বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এই মুজিববাদী খুনি শেখ হাসিনার দোসরদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে জেলে ভরতে হবে। বাংলার মাটিতে মুজিববাদের জায়গা নাই।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টা থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ছিলো আজকের মধ্যেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য