আবারও সড়কে নেমেছেন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ প্রত্যাশীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করছিল আন্দোলনকারীরা। পরে মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে যাওয়ার পথে হাইকোর্টের মাজার গেটে গেলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এরপরই জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
গত ২৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করে একটি অধ্যাদেশের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ বছর। যেখানে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নিম্নরূপ আলোচনার মাধ্যমে ওই অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব-স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য