-->
শিরোনাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতিকী ফাঁসি

ঢাবি প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতিকী ফাঁসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনাসহ জাতীয় পার্টি ও ‘ফ্যাসিবাদি’ দলের পাঁচ নেতার প্রতিকী ফাঁসি দিয়েছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ব্যানারে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে শেখ হাসিনাসহ পাঁচ নেতার এই প্রতিকী ফাঁসি দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, টিএসসির পায়রা চত্বরে একটি প্রতিকী ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে পরপর পাঁচটি কুশপুত্তলিকায় ৫ জনের ছবি দিয়ে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।ফাঁসির মঞ্চের পর্দা উন্মোচন করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। প্রতিকী ফাঁসি শেষে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিরে আসতে চাইছে। যারা গণহত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের মধ্যে যারা এমপি মন্ত্রী হয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে।তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক, ব্যবসায়িক, আইনী-সকল অঙ্গন থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে। ২৪ এর গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতা হাত, পা, চোখ হারিয়েছে। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-সন্তান হারিয়েছে। তারা কোনোদিন ফিরে আসবে না। তাহলে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি কীভাবে ফিরে আসবে? আমরা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সাথে বেইমানি করতে পারি না।

এর আগে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রতিকী ফাঁসি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, সোমবার দুপুর দুইটায় টিএসসিতে আমরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের প্রতীকী ফাঁসি দেব। সেখানে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাপরিচালক মুজিবুল হক চুন্নুসহ ফ্যাসিবাদী নেতাকর্মীদের প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হবে। সরকারকে জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। গণ অভ্যুত্থান আইন মেনে হয়নি তাই আইনের বাইরে গিয়ে সরকারকে অ্যকশন নিতে হবে। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার অথবা বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে। গণভবনের মতো জাতীয় পার্টির কার্যালয়কে জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা বানাতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করে ফ্যাসিবাদী প্রথার বিলোপ সাধন করতে হবে নাহলে জনগণকে ভুগতে হবে।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতার পক্ষ থেকে দুটি দাবি জানানো হয়- আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসর যে দলগুলো গুম, খুন, গণহত্যা করেছে তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version