-->
শিরোনাম

ডাকবাংলোর শতবর্ষী পুকুর ভরাট ও গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ডাকবাংলোর শতবর্ষী পুকুর ভরাট ও গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর পেছনে শতবর্ষী পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ এবং পরিবেশের ক্ষতি করে গাছ কাটার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার (০৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে শতবর্ষী পুকুর নাগরিক রক্ষা নাগরিক আন্দোলন স্থানীয় নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে এই মানববন্ধন করে।

মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ দোকান বরাদ্দের কথা বলে একদিকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা অন্যদিকে দোকান প্রত্যাশীসহ অসহায় মানুষকে কথিত উন্নয়নের গল্প বলে পক্ষে রাখার চেষ্টা করছে। বক্তারা পরিবেশ রক্ষার্থে অবিলম্বে ভরাট করা শতবর্ষী পুকুরটি পুনঃ খনন, মার্কেট ও অডিটরিয়াম নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমিনুল ইসলাম গোলাপ, রাজনীতিক ও পরিবেশ আন্দোলন নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক ময়নুল ইসলাম রাজা, গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য গোলাম রব্বানী মুসা, বাসদ নেতা এ্যাড. নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, মিনারা বেগম, সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জেলা আহবায়ক মৃণাল কান্তি বর্মন, জেলা পরিষদ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সরকার, শ্রমিক নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষসহ জেলা পরিষদের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আধুনিক অডিটরিয়াম ও মার্কেট নির্মাণের জন্য ডাকবাংলোর পেছনের শতবর্ষী পুকুরটি ২০২১ সালে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। সেসময় নাগরিক সমাজের আন্দোলন ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে জেলা পরিষদ সম্প্রতি আবারও মার্কেট ও অডিটরিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version