প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল কাজে লাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে প্রস্তুত। সংস্কার বাস্তবায়নে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির চাহিদা ও পরামর্শ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, এ পরিবর্তনের জন্য সবার সহযোগিতা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য’ শীর্ষক শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ ও বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস।
ড. ইউনূস বলেন, "বিশ্বের কাছে যেতে নয়, বিশ্বকে আমাদের কাছে নিয়ে আসার যোগ্যতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে। তেমনি যেভাবে সত্যেন্দ্রনাথ বসু আত্মবিশ্বাস নিয়ে আইনস্টাইনকে চিঠি লিখেছিলেন। আজ আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে তারাই বিশ্ব।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় স্মরণ করে তিনি বলেন, "বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকী উদ্যাপনের মাধ্যমে আমরা সেই গৌরবময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফিরিয়ে আনতে চাই।"
বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, "বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সংস্কার এবং উন্নয়ন প্রয়োজন। এজন্য সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমরা সবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে সেই পথে এগিয়ে যাবো।"
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, "ঢাকার কার্জন হলের ছোট্ট একটি কামরায় বসে বসু যে আবিষ্কারটি করেছিলেন, তা পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে বিপ্লব এনেছিল। আজও বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই উদ্যাপনে শরিক হচ্ছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এর মর্ম আলাদা।"
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, এবং বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস, কলকাতার সাবেক অধ্যাপক পার্থ ঘোষ।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য