ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ুম। জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিটে আদানি (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ২৫ বছর মেয়াদী বিদ্যুৎ চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের একতরফা এই চুক্তি বাতিলের জন্য আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি সচিবকে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশে অবিলম্বে এই চুক্তির পুনর্বিবেচনা অথবা বাতিলের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় রিটটি করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, চুক্তির অধীনে নিম্নমানের কয়লার জন্য বাংলাদেশকে তুলনামূলকভাবে অধিক মূল্য পরিশোধ করতে হবে, যা অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ায় আদানির মালিকানাধীন খনি থেকে ভারতে কয়লা আমদানি করে, তা বাংলাদেশের ব্যয়ে গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় পুরো ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ, যা একতরফা চুক্তির বৈষম্যকে ফুটিয়ে তোলে।
আবেদনে আলজাজিরার প্রতিবেদনের বরাতে আরও বলা হয়, আদানি গ্রুপের সঙ্গে পিডিবির এই চুক্তিতে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল না, এমনটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে বলে জানা গেছে।
২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত এই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির অধীনে ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানির ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য