-->
জুলাই-আগস্টে গণহত্যা

সাবেক মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে তোলা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
সাবেক মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে তোলা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কারাবন্দি সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ ১৪ জনকে আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সকালে তাদের হাজির করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

যাদের হাজির করা হচ্ছে তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, গোলাম দস্তগীর গাজী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় এই প্রথম কাউকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২০ নভেম্বর ২৩ জনকে হাজির করার দিন ধার্য রয়েছে।

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক ১০ মন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ২০ জনকে হাজির করতে গত ২৭ অক্টোবর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। এরমধ্যে ১৪ জনকে আজ হাজির করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল ওই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এদের মধ্যে ২০ জন এরইমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন। প্রসিকিউশন পক্ষের পৃথক দুটি আবেদনে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তৃতীয় আবেদনে ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version