রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে সোমবার মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন। অবরোধের ফলে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক এবং রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা।
অবরোধ চলাকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস মহাখালী রেলক্রসিংয়ে আটকে পড়ে। ঢাকা থেকে জামালপুরগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসও থামাতে বাধ্য হন চালক। শিক্ষার্থীরা ট্রেন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন, ফলে ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
সড়কপথেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে মহাখালী, বনানী, এবং জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে আসার দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি জয়েনাল আবেদিন জানান, রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, উপকূল এক্সপ্রেসে হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন, তবে সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।
এদিকে, বনানী থানার ওসি মো. রাসেল জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে রেল ও সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। সেদিনও মহাখালী এলাকায় ব্যাপক যানজট ও ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক হলেও অবরোধের ফলে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ এবং যাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে আন্দোলনের কৌশল। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য