-->

আন্দোলন সহযোগীদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন

- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

অনলাইন ডেস্ক
আন্দোলন সহযোগীদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি এককভাবে দেশ পরিচালনা করবে না। আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে সমস্যা কোথায়? সন্দেহটা কোথায়? সন্দেহ কিন্তু আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ওপর আসতে শুরু করেছে।”

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ পরিচালনায় সফলতার জন্য দরকার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থাকে সঠিকভাবে সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজন করা এখন সময়ের দাবি। যেসব দল নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।”

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে আমরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যরা রাজনীতিবিদ নন এবং তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। এজন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান প্রয়োজন।”

খালেদা জিয়ার পার্লামেন্টারি সরকারব্যবস্থা ঘোষণার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “স্বৈরাচার এরশাদকে সরাতে আমরা সফল হয়েছি। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করায় আমরা যথাযথ প্রতিরোধ গড়তে পারিনি। ১৫ বছরের সংগ্রামের পরও তাকে সরানো যায়নি। তবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।”

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি সরকারের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “সরকারের কাছে কি কোনো তথ্য ছিল না? কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? এর কারণ হলো সরকার এখনো স্থিতিশীল নয়। এজন্যই আমরা বলছি, নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে সংস্কার করে দ্রুত একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। এতে জনগণের আস্থা ফিরবে।”

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “অনেকে হতাশ হয়ে বলছেন—এ জন্যই কি আন্দোলন করেছি? এতে শত্রুরা সুযোগ নিচ্ছে। সরকারের উচিত বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ফোকাস করা।”

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ের তালিকায় স্থান পায়নি। এটি আমাদের ঐক্যের অভাবকেই তুলে ধরে। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করেছেন। এখন সময় এসেছে ইস্পাত-কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাব সভাপতি ড. হারুন আল রশীদ, প্রফেসর ড. আবু আহমেদ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version