বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে কোড করে বলা হয়েছে- আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। কে নির্বাচন বা রাজনীতি করবে তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা তা নির্ধারণ করতে পারি না। গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই। আমরা কখনো কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে রাজনীতি করতে দেবেন কি দেবেন না। এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ (পরিষ্কার) করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি এটা একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছে। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও তিনি কখনো মাথা নত করেননি। তিনি মাথা উঁচু করে এখনো দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।
বন্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলের মহাসচিব বলেন, বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছে। শত নির্যাতনের পরেও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিকেলে ছাগলনাইয়ায় আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য