কো-অপারেটিভ সোসাইটির রক্ষিত ১২ হাজার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়ে গেছে। এটি পুরোনো খবর। আর এই লকার থেকে স্বর্ণ হারানো নিয়ে মামলাও করা হয়। কিন্তু মামলায় এজাহারে নাম থাকলেও অজ্ঞাত কারণে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয় লুটের হোতা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহিকে।
আইনের জটিল মারপ্যাঁচে একের পর এক মামলা দিয়ে সরকার মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লি. এর চেয়ারম্যান পদটি এক যুগের বেশি সময় আঁকড়ে ছিলেন মহি। এ ক্ষেত্রে কাজে লাগান সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (২০০০২-২০১৩ সংশোধিত)-এর অস্পষ্ট একটি ধারা। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ তিন বছর। ‘সমবায় সমিতি আইন-২০০১’ এর ১৮ ধারায় ‘ব্যবস্থাপনা কমিটি’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘(১) প্রত্যেক সমবায় সমিতির যাবতীয় ক্ষমতা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই আইন, বিধি ও উপ-আইন মোতাবেক গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদনযোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সব কার্য ওই কমিটি সম্পাদন করিবে। এ আইন অনুযায়ী মহিউদ্দিন আহমেদ সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।
আইনটির (৭) উপ-ধারায় বলা হয়, ‘ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে একনাগাড়ে তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ করিয়াছেন এমন সদস্য বা সদস্যরা পরবর্তী এক বছর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’ কিন্তু মহিউদ্দিন আহমেদ রিট করে নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে চেয়ারম্যানের চেয়ারে রয়েছেন টানা এক যুগ। ২০০৯ সালের ২০ জুলাই তিনি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হন। প্রথমবার তিনি ২০১২ সালের ২৬ মে পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি কমিটি পূর্ণ সময়কাল ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। এভাবে পরপর তিন বারে তিনি টানা ৯ বছর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদ আঁকড়ে থাকেন। ২০১৮ সালের ৬ মে তার তৃতীয় মেয়াদও শেষ হয়ে যায়।
সমবায় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশেষায়িত বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকে লুটপাট শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। ওই সময় যারা ব্যাংকটিতে লুটপাটে জড়িত ছিলেন তারা প্রায় প্রত্যেকে ছিলেন চিহ্নিত। বিদ্যমান আইনি ফাঁকের মধ্যে গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি মামলা (নং-৯) করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজাহারে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/১২০-বি এবং ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা প্রয়োগ করা হয়। মামলাটি হয় সমবায় অধিদফতরেরই একটি অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে। মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া চলার সময় ব্যাংক থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার বহু প্রমাণাদি জব্দ করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এজাহারে নানা পদ্ধতিতে ৪০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নয়-ছয়ের ফিরিস্তি তুলে ধরা। আসামি করা হয়, ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব), হেদায়েত কবীর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (স্বর্ণ বন্ধকী বিভাগ) মো. আশফাকুজ্জামান, তৎকালীন প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাহবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নূর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) মো. আব্দুর রহিম এবং সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) নাহিদা আক্তারকে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুই হাজার ৩১৬ গ্রাহকের সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ জামানত হিসেবে সমবায় ব্যাংকে রেখেছেন। কিন্তু আসামিরা বিদ্যমান আইন-কানুন অনুসরণ না করে অসাধু উপায়ে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এর অংশ হিসেবে ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা বাজার মূল্যের জামানত থাকা স্বর্ণ ভুয়া ব্যক্তিকে ‘প্রকৃত ব্যক্তি’ সাজিয়ে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ ৭২ হাজার ২০২ টাকা ‘পরিশোধ’ দেখান। ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ প্রকৃত গ্রাহককে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ ফেরত প্রদানে গ্রাহকের আবেদন, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে নথিমূলে উপ-মহাব্যবস্থাপকের অনুমোদনক্রমে স্বর্ণ ফেরত দেয়ার নিয়ম রয়েছে। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লি. জমাকৃত স্বর্ণ অসাধুভাবে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাতের নিমিত্তে সহকারী অফিসার নূর মোহাম্মদ, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, মো. হেদায়েত কবীর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) আব্দুল আলিম পরস্পর যোগসাজশে স্বর্ণের বিক্রয়লব্ধ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশের সমবায় সমিতির সদস্যরা স্বর্ণালঙ্কার জামানত রেখে ক্ষুদ্রঋণ নেন। পরবর্তীতে সুদসহ টাকা জমা দিয়ে বন্ধকী স্বর্ণ ফেরত নেন। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমবায় ব্যাংক গ্রাহকদের এ সেবাটি দিয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় ঢাকার ৩৩৫ জন গ্রাহক এবং নারায়ণগঞ্জের এক হাজার ৯৮১ জন গ্রাহকসহ ২৩১৬, সমবায় ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ জামানত রাখেন। ২০২১ সালে বাজার দর অনুযায়ী স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য ছিল ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা।
সূত্রমতে, ২০১৮ সালের ৭ মে তৃতীয় মেয়াদ পূর্তির আগে সেবছর ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩১তম ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ওই বছর ২৫ এপ্রিল ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মহিউদ্দিন আহমেদ রিট (নং-৫৪৪৩/২০১৮) করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য নির্বাচনি কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ নেন। সেই সঙ্গে বিবাদীদের প্রতি রুল জারির আদেশ করান। এদিকে নির্বাচনের ওপর দেয়া ছয় মাসের স্থগিতাদেশ শেষ হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ সমবায় সমিতি আইন সংশোধন পর্যন্ত নির্বাচনের ওপর স্থিতাদেশ (স্ট্যাটাসকো) দেন। এই আদেশের ভিত্তিতে সমবায় অধিদপ্তর ‘সমবায় সমিতি আইন-২০০১’-এর সংশোধনীর উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ‘সমবায় সমিতি আইন-২০০১’-এর ৮৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ‘সমবায় সমিতি বিধিমালা-২০০৪’-এর সংশোধনী আনে। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য তিনি একটি দেওয়ানি মামলাও (নং-৭৫/২০১৮) করেন। মামলায় সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালকসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে উদ্যোগী হয় সমবায় অধিদপ্তর। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান, মহাব্যবস্থাপকসহ প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ১২ বছরের কার্যক্রমের তথ্য চেয়ে ২০২০ সালের ৫ জুলাই চিঠি দেয়। এই চিঠির কার্যকরিতা স্থগিত চেয়েও মহিউদ্দিন আরেকটি দেওয়ানি মোকদ্দমা (নং-৭৩/২০২০) করেন। এতে ধামাচাপা পড়ে যায় ব্যাংকটির দুর্নীতি উদঘাটনের উদ্যোগ।
এদিকে মহিউদ্দিন মহিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক এস এম মো. সাহিদুর রহমান। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সমবায় ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুই হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের গচ্ছিত সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা জামানত রাখা স্বর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে আত্মসাৎ করেন। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে ভুয়া গ্রাহককে ‘প্রকৃত গ্রাহক’ সাজিয়ে ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ গ্রাহককে না দিয়ে নিজেরা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় মহি-গংদের বিরুদ্ধে। আসামি করা হয় বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি, উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ বিভাগ) মো. আশফাকুজ্জামান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ম্যানেজার মো. মাহাবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নূর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) আব্দুর রহিম ও নাহিদা আক্তারকে।
দুদক অনেক গড়িমসির পর মামলা করলেও গ্রেপ্তার করেনি লোপাটের হোতা, আ.লীগ নেতা মহিউদ্দিন মহিকে। তাকে জামিন নেয়ার সুযোগ করে দেন দুদকেরই এক শ্রেণির কর্মকর্তা। সেই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক কোনো আপিলও করেনি। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি রহস্যজনক কারণে মহিউদ্দিন মহিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন। এভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত হলেও মহিকে বাঁচাতে পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বলির পাঁঠা বানানো হয় ব্যাংকটির পাঁচ কর্মকর্তাকে। পরে মামলার চার্জশিট থেকেও তার নাম বাদ দেয়া হয়। চার্জশিট হয় আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একজন এরই মধ্যে মারা গেছেন। ফলে সমবায় ব্যাংক লোপাটের মূল দায়ী ব্যক্তিকে বাদ দিয়েই শুরু হয় মামলাটির বিচার কার্যক্রম। চার্জশিট দাখিলের পরও তিন বছর ধরে রহস্যজনক কারণে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মামলার কার্যক্রম। অন্যদিকে সমবায় ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন করে ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দুদক থেকে জামিন নিয়েই পালিয়ে গেছেন কানাডায়। সেখানে তিনি সপরিবারে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তাকে কানাডার বেগমপাড়ায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বতীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি)-র উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ গত ৩০ সেপ্টেম্বর সমবায় ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব হওয়ার তথ্য জানান। এদিকে আবার নতুন করে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি এবং তার স্ত্রী নূরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৬ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মহিউদ্দিন আহমেদ দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তিন কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য ঘোষণা প্রদান করেন। যাচাইকালে তার বিরুদ্ধে এক লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত দুই কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮ টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। অন্য মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী নূরজাহান বেগম দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে এক কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে এক কোটি ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ টাকার জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূতসম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দুইটি করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য