কাজে যোগদানের তিন বছরের মাথায়ই শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাচ্ছেন বিআরটিসি’র প্রায় ২২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করেন বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
সরকার ১৯৯৯ সালে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা চালু করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিআরটিসিতে ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যানের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এই ভাতা পেয়ে আসছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা/কর্মচারীরা। ২০২৩ সাল থেকে অদ্যাবধি ৩,০৫৭ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে মোট ৪ কোটি ৬১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীরা প্রতি তিন বছর পরপর ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটিসহ এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন। বর্তমান চেয়াম্যানের দক্ষ ও সুশৃঙ্খল নেতৃত্বে বিআরটিসির বাস-ট্রাক পরিচালনা, দক্ষ চালক প্রশিক্ষণসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরে এসেছে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি মাসের ১ তারিখে নিয়মিত বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ ও কাজের প্রতি উৎসাহ যোগাতে বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেয়া হচ্ছে।
২০২১ সালের পর নতুন গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো রকম বৈষম্য না থাকায় দলমত নির্বিশেষে কর্মকর্তা/কর্মচারীরা যার যার প্রাপ্য অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২৯৬ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি ও ছুটি নগদায়ন বাবদ ৪৫,০৪,৯৮,৬১.৪৪ টাকা প্রদান হয়। এছাড়া অসুস্থ ও দুরারোগ্য আক্রান্ত ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে কল্যাণ তহবিল হতে ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য