‘আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ’র (ইসকন) বহিষ্কৃত নেতা অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ইস্যুতে ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নয়াদিল্লি শুধু উদ্বেগই প্রকাশ করেনি; সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েছে বলেও দাবি করেছে। একই সঙ্গে ন্যায় বিচার করারও দাবি জানিয়েছে দেশটি। পশ্চিমবঙ্গের কলকতায় ঢাকার উপ-হাইকমিশনে বাংলাদেশের পতাকা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে দেশটির উগ্রপন্থি বিপুল মানুষ। তারা নানাভাবে বাংলাদেশকে হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রেখেছে। সব মিলিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার কূটনীতিতে টানাপড়েন চলছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, কেউ আমাদের জন্য হুমকি হোক- এটা আমরা চাই না। সব দেশের সঙ্গেই আমরা ভালো সম্পর্ক রক্ষা করতে চাই। গতকাল শনিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের আগে ভারতের সঙ্গে এক রকম সম্পর্ক ছিল, এখন আরেক রকম। এই সম্পর্কে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। পূর্ববর্তী সরকার তাদের (ভারতের) উদ্বেগে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। আমাদেরও উদ্বেগ ছিল। তবে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তবে আমাদের পানি সমস্যা আছে, সীমান্ত হত্যা আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, সীমান্ত আছে। তবে এমন সীমান্ত হত্যা হয় না। সীমান্তে অপরাধ হতেই পারে। তাই বলে কোনও সীমান্তে গুলি করে মারার কোনও যুক্তি থাকে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় মিডিয়া যে ভূমিকা নিয়েছে, সেটা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে কোনও সহায়ক নয়। আমাদের সম্পর্কে ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যাচার করছে; সেটা আমাদের মিডিয়াকে তুলে ধরতে হবে।
এম তৌহিদ হোসেন বলেন, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য না থাকার কারণেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের জাতীয় স্বার্থ থাকলেই জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেখতে হবে, আমরা আমাদের ঘর ঠিক মতো গোছাচ্ছি কি না। কী করলে আমাদের স্বার্থ রক্ষা হবে, এটা ঠিক করতে হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হবে সক্ষমতা বাড়ানো। প্রবাসীদের উদ্দেশ্য আমি বলব, বিদেশে আপনারা স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত হন। ভারতীয়রা জড়িত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সে কারণেই ভারতীয় প্রভাব বেশি। আমাদেরও এটা করতে হবে।
আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট ছিলেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বাংলাদেশ কোনও সাম্প্রদায়িক দেশ নয়, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দেশ কখনওই ছিল না। বাংলাদেশের জনগণই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ভারত কেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে। কারণ, আওয়ামী লীগ ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে। বিএনপি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশের লোকদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমি এটা ৫ বছর ধরে বলে আসছি। আমাদের হাজার হাজার লোক আছেন; তারা আমাদের বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ দেবেন। তিনি বলেন, মিস্টার বিনের সিরিজের মতো হঠাৎ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতার জন্য আমাদের দীর্ঘ দিনের ইতিহাস আছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. এম জসিম উদ্দিন।
‘ডিজইনফরমেশন ক্যাম্পেইন’ চলছে: ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বর্ডারের ওপার থেকে ‘কো-অর্ডিনেটেড’ ডিজইনফরমেশন ক্যাম্পেইন চলছে।’ গতকাল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) উদ্যোগে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করবেন। প্রেস সচিব বলেন, একটা মহৎ, একটা গ্লোরিয়াস আন্দোলনের কারণে এই জায়গাতে এসেছি। আমরা কী আগের জায়গায় আবার ফিরে যাব কি না। আমরা কি আবার, এই যে আমাদের মাঝে যে রেস্টলেস মাইন্ডগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেছে, আমরা কি সত্যিকার অর্থে রিফর্মগুলো করতে পারব, না করতে পারব না? এটা এখন বিগ ইস্যু। কত দিক দিয়ে, মানে ব্যাটেল কত দিক দিয়ে করবেন। সামাজিক অস্থিরতা তৈরির পেছনে কিছু ব্যক্তি সোশাল মিডিয়ায় ভূমিকা রাখছে।’
ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না: কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি গোষ্ঠী আমাদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এ বাউফল ফাউন্ডেশন ঢাকা আয়োজিত গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় দেশ হিসেবে অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে নানা ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সাংবিধানিকভাবে সবার অধিকার সমান। সব ধর্মের মানুষ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে তাদের নিজের ধর্মচর্চা, ধর্ম প্রচার ও পালন করে আসছে। আগামীতেও সবাই নির্বিঘ্নে তাদের ধর্ম পালন করে যাবে।
উপদেষ্টা বলেন, ব্যক্তিই হোক কিংবা গোষ্ঠীই, যারা চক্রান্ত করবে সরকার তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে। ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। খালিদ হোসেন বলেন, সরকার নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা দেবেন সেই তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৫-১৬ বছর পর জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।
ইসকন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে: গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসকন একটি ধর্মীয় ভাব আন্দোলন সংগঠন হলেও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। ইসকনের দেশি ও বিদেশি নেতারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য রেখেছেন। তারা মার্কিন-ভারতের আধিপত্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এর প্রমাণ চলতি মাসের শুরুর দিকে চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে সহিংসতায় জড়িত ইসকন সমর্থকদেরকে গ্রেপ্তারের সাথে সাথেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তাই ইসকনসহ সব উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি। ছাত্রলীগের মতো ইসকনকেও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা সম্ভব। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে এমন দাবি জানানো হয়েছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী আক্কাস চৌধুরী।
ব্যারিস্টার আলী আক্কাস বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম জনগোষ্ঠী ও মূল ধারার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাপক বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে ইসকন। এই সংগঠনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে খুন, জমি দখল, মারামারি, অন্যের সম্পদের ক্ষতি সাধনসহ নানান সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চিন্ময় দাসকে নিয়ে ইসকনের বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, চিন্ময় দাস নাকি ইসকন থেকে বহিষ্কৃত এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কর্মসূচির সঙ্গে ইসকনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই দাবির হাস্যকর দিকটি হলো- ইসকনের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে গত ২৫ নভেম্বরেও চিন্ময়কে ইসকন নেতা বলেছে এবং গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত চিন্ময় চট্টগ্রামে ইসকনের অন্যতম প্রাচীন মন্দির পুগুরীক ধামের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ইসকনকে ভরতের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যারিস্টার আলী আক্কাস বলেন, মূলত, এমন মিথ্যাচার ও ধোঁকাবাজিই ইসকন ও ভারতের কৌশল। চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় ভিন্ন সংগঠনের নামে উগ্র ও সশস্ত্র তরুণদের জড়ো করে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে ইসকনের নেতারা সাধুর ছদ্মবেশে বাংলাদেশে ক্রমাগত উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি, বিভাজনমূলক প্রচারণা ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ইসকন বেশি সক্রিয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, বিশেষত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম বিভাগ, রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগে ইসকন বেশি সক্রিয়। বাংলাদেশের এই বিভাগগুলো নিয়ে বিশেষত চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগ নিয়ে ভারতের কোনো কোনো মহলের বিশেষ ভূ-রাজনৈতিক প্রকল্প ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উসকানির কথা ব্যাপকভাবে শোনা যায়।
ইসকনের বিভিন্ন কার্যকলাপ বাংলাদেশের মূলধারার অনেক হিন্দুদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার আলী আক্কাস বলেন, ইসকনের বিভিন্ন কার্যকলাপ বাংলাদেশের মূলধারার অনেক হিন্দুদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। সাধুর ছদ্মবেশে ইসকনের গেরুয়া রাজনীতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে ভারতের ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে বাংলাদেশে ইসকন এসব উগ্রতা ছড়াচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা হয়। বাংলাদেশেও অবিলম্বে একই ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইসকন-সহ সব উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের উদ্যোগ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সুমন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী শেখ ওমর এবং অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এসএম আমিমুল ইসলামসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কয়েকদিন আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ খবরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তাদের কয়েকজন সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবীকে কুপিয়ে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য