বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১টি পদ শূন্য রয়েছে। এ বিশাল সংখ্যক শূন্য পদ পূরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান এবং মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, 'স্ট্যাটিসটিকস অব গভর্নমেন্ট সার্ভেন্টস-২০২৩' অনুযায়ী বর্তমানে সরকারের অনুমোদিত শূন্য পদের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১টি। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) সম্প্রতি ৪৭তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ৩ হাজার ৬৮৮টি শূন্য পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে বিপিএসসি শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণি নন-ক্যাডার এবং সীমিত পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকে।
সরকারি কর্মচারীদের অন্যান্য পদ পূরণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধীনস্ত দপ্তর/সংস্থা, করপোরেশন এবং কোম্পানিগুলোর ওপর ন্যস্ত। তবে এত বিপুল সংখ্যক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও তা পূরণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ না নেওয়া হতাশাজনক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধীন দপ্তর এবং মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোকে শূন্য পদগুলো বিধি মোতাবেক দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শূন্য পদ পূরণের বিষয়ে ইতোমধ্যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য ওয়ার্ড ফাইল আকারে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজস্ব খাতে প্রায় ২০ লাখ অনুমোদিত পদ রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ শূন্য। এ অবস্থায় শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব হ্রাস এবং সরকারি সেবার মান উন্নয়নে শূন্য পদ পূরণের গুরুত্ব অপরিসীম।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য