চলমান বাস্তবতায় জাতীয় ঐক্য গড়তে আলোচনার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কমপক্ষে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক টেবিলে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে এই বৈঠকে ডাকা হয়নি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। যে দলটির এখন নেতৃত্ব দিছেন এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের।
দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সবাই মিলে আমরা একজোট হয়ে কাজটা করলে একটা সমবেত শক্তি তৈরি হয়, এই সমবেত শক্তির জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমন্বিতভাবে আমরা জাতীয় স্বার্থে আমরা এক আছি ও থাকব। প্রধান উপদেষ্টার এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। জাতীয় ঐক্য গড়ার মধ্য দিয়ে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেওয়ার ব্যাপারে তারা একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে রাজনৈতিক দলের নেতা এবং উপদেষ্টারা এ তথ্য জানিয়েছেন। সবাই মিলে একটি জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করা, নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন ও শক্ত পাবলিক রিলেশন বিভাগ গড়ে তোলার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় নেতা ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
দেশকে নতুন করে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকর পর গতকাল বুধবার রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জানা গেছে, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৩টার পর থেকেই রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রবেশ করতে শুরু করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
এ ছাড়াও ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, ইসলামিক কাজের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মাস্টার এম এমান্নান, পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ লিটন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অনেকের কাছে পছন্দ হচ্ছে না। নানাভাবে এটাকে উল্টে দেয়ার চেষ্টা চলছে। দেশকে নতুন করে অস্থির করার চেষ্টা চলছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেভাবে দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি তা ধামাচাপা দিয়ে আরেক কাহিনী রচনা করে যাচ্ছে। সারাক্ষণ নানা রূপে তারা এটা করে যাচ্ছে। এটা যে এখন এক দেশের মধ্যে আছে তা নয়, বিশেষ বিশেষ বড় দেশের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম, তারা এটাকে মুছে দিয়ে আগেরটায় ফিরে যেতে চায়। মুখে বলছে না যে আগেরটা; কিন্তু ভঙ্গী হলো আগেরটা ভালো ছিল। তাদের শক্তি এত বেশি যে তারা মানুষকে এর ভেতরে ভেড়াতে পারছে।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা ভালো বোঝেন। সবাই মিলে আমরা একজোট হয়ে যেন কাজটা করতে পারি, সবাই একত্র হয়ে বললে একটা সমবেত শক্তি তৈরি হয়, এই সমবেত শক্তির জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবগুলো রাজনৈতিক দল আজ উপস্থিত ছিল। এই বৈঠকে সবাই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে ঐক্যমতে পৌঁছে তাদের মত বক্তব্য দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা সাহসী, অটুট ও ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ভবিষতে যেকোনো ধরনের উসকানি আসলে আমরা আমাদের ঐক্য আরও বেগবান দেখানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। বৈঠকে, আমরা গোটা জাতি ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি এজন্য আমরা সবাই মিলে একটি সমাবেশ করতে পারি কি না এমনকি নিরাপত্তা কাউন্সিল করতে পারি কি না এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এই সভার মূল সুর ছিলো আমাদের মধ্যে মত, পদ, আদর্শের ভিন্নতা থাকবে কিন্তু দেশ, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে আমরা সবাই এক। সবার ওপরে দেশ এবং এটা থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত হবো না। বাংলাদেশকে দুর্বল, শক্তিহীন, নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই বলেও জানান আসিফ নজরুল।
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশবাসী আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর পেতে যাচ্ছেন। অপপ্রচার মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে কাজ করবে জামায়াতে ইসলামী।
তিনি বলেন, আমরা কারও পাতা ফাঁদে পা দিব না। কারও কাছে মাথা নত করবো না, আবার সীমালঙ্ঘনও করবো না। সরকারকে সহযোগিতা করছেন জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। সরকার যাতে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বিজয় এসেছে, চলমান ষড়যন্ত্রও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ হয়ে গেলে আর ষড়যন্ত্র করার সাহস কেউ পাবে না। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করা হয়েছে, তাদের ষড়যন্ত্রকেও এদেশের ছাত্র-জনতা সকলে মিলে আমরা সকলে মোকাবিলা করব।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এই ডিসেম্বরে লাখো মানুষের শাহাদাতের বিনিময়ে গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য স্বাধীনতা পেয়েছে। আজকের এই বিজয়ের মাসে আমাদের সকলের প্রত্যয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের দায়িত্ব এই দেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পতিত সরকার বিদেশ থেকে যে ষড়যন্ত্র করছে সেই ফ্যাসিস্ট, পতিত সরকারের বিরুদ্ধে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছি যে আমরা সকল জনগণ যেমনিভাবে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি, তাদের এবং তাদের কে যারা সহযোগিতা করছে তাদের ষড়যন্ত্রকে সেইভাবে এদেশের ছাত্র-জনতা সকলে মিলে তাদের ষড়যন্ত্রকে আমরা সকলে মোকাবিলা করব।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার ওয়াদাবদ্ধ জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দেয়ার। তাই আমরা বলেছি অতি দ্রুত সংস্কার সাধন করে নির্বাচনের জন্য একটা রোডম্যাপ দেয়া, যাতে করে জনগণ রোডম্যাপ পেয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করার সাহস পাবে না।
দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকাল সোয়া পাঁচটায় বৈঠক চলাকালীন অবস্থায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি থেকে বের হয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ সময় বৈঠকের এজেন্ডা সরকারের পক্ষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান তুলে ধরেন বলেও জানান তিনি। ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারতসহ সারা বিশ্বে যে প্রপাগাণ্ডা চলছে সেগুলোর বিষয়ে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয়, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিস ভাঙচুর ও পতাকা অপমান করা নিয়ে করণীয় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে গল্প ও উপন্যাস সারা দুনিয়ায় চলছে তা নিয়ে মতামত।
তিনি বলেন, সব দল তাদের মতামত তুলে ধরছে, রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয় কী। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে আলোচনা হয়েছে তা হলো- প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়ার জন্য তাগাদা। স্বরাষ্ট্র এবং অন্যান্য কিছু মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে অনেকে সেবার একটা ঘাটতি বোধ করছেন, এক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে। সবাই রাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমরা আপনাদের পেছনে আছি। আপনাদের সিদ্ধান্ত ও লড়াইয়ের পেছনে আমরা অংশীদার।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব বলেন, বৈঠকে একজন সাবেক মিলিটারি অফিসার, যিনি একটি দলেরও প্রধান, তিনি ভারতের সঙ্গে উসকানি ও উদ্বেগের জায়গা থেকে কীভাবে ভারসাম্যের জায়গায় নিয়ে আসা যায় তার জন্য কাজের পরামর্শ দেন। দুই-একজন পরামর্শ দিয়েছেন সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে একটি জাতীয় কমিশন করা যায় কিনা।
তিনি বলেন, কিছু মতামত এসেছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রে যেসব অ্যাম্বাসি আছে, সেখানে যারা কর্মরত তারা এখনও ফ্যাসিবাদী আমলের। তাই ওইসব রাষ্ট্রে বাংলাদেশ-বিদ্বেষ ঠেকানোর জন্য যা যা করা দরকার তা করছে না। সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলো থেকে তাদের বের করে এনে অভ্যুত্থানের পক্ষের অফিসারদের নিয়োগ করা দরকার। একইসঙ্গে চলমান প্রপাগাণ্ডা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্রের পিআর সেল করা দরকার বলে কিছু রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে বলেও জানান এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে যান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। একই কারণে ফেরত যেতে হয়েছে দলটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকেও।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের আমন্ত্রণে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে যান অলি আহমদ ও রেদোয়ান আহমেদ। পরে অতিথি তালিকায় নাম না থাকার বিষয়টি জানানো হলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখান থেকে ফেরত যান তারা। এদিন বিকেল সোয়া ৪টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়। সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক বলেন, প্রবেশপথে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে অতিথি তালিকায় তাদের নাম নেই। পরে তারা অনুষ্ঠানস্থলে না গিয়ে বাসায় চলে আসেন। এরপর উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যোগাযোগ করলেও তারা আর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাননি।
তিনি জানান, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতে এলডিপির সভাপতি ও মহাসচিবকে দাওয়াত দেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। দাওয়াত দিয়েও অতিথি তালিকায় কেন নাম রাখেনি সেটা সরকার ভালো বলতে পারবে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য