সরকারের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে গত বুধবার মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। রহস্যের ওই আগুনে একে একে ৬, ৭, ৮ ও ৯ -এই চারটি তলায় থাকা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ভস্মীভূত হয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে লাগা ওই আগুন গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কি না তা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ে আগুন লাগার খবর পায় গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। রাত ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮টি ইউনিট কাজ করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় সোহানুজ্জামান নয়ন নামে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
গতকাল সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে জানান, পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুজ্জামান নয়ন আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সোহানুজ্জামান তেজগাঁওয়ে স্পেশাল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়।
ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হওয়ার তথ্য ছাড়া আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুন লাগার কারণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে ২ প্লাটুন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবির সদর দফতর। এছাড়া ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তা করছেন তারা।
ভোর পাঁচটার পর ফায়ার সার্ভিসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট কড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বাইরে থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের।
যদিও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সিনিয়র চিফ পেডি অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘ভিতরের পরিস্থিতি দেখে ধারণা করছি কোনো শট সার্কিট থেকে আগুন লাগেনি। এটা পরিকল্পিত হতে পারে। এখানে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থান থেকে আগুনটা লেগেছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।
আগুনের কারণ খুঁজছে সবাই প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনের সূত্রপাত খুঁজছেন গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন বাহিনীর অনুসন্ধানী টিম। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রাথমিক পরিদর্শনে কর্মকর্তাদের ধারণা এটি নাশকতাও হতে পারে। আগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারো ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না তা উদঘাটন, এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে সুপারিশ করবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে টিম গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসকল কর্মকর্তাদের পদ প্রকাশ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে, তাদের নিয়ে বৈঠকে বসার প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলেও কোনো কক্ষে প্রবেশ করেন নি। পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন রয়েছে। কিছু স্থানে জেনারেটর চললেও অধিকাংশ স্থান বিদ্যুৎহীন রয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শন করেছে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ। পুড়ে যাওয়া সাত নম্বর ভবনের আট তলা থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া মৃত একটি কুকুর পাওয়া গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের প্রতিনিধিদল। মৃত কুকুরটি ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়েছে। যা বললেন উপদেষ্টা-সমন্বয়করা এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেনে, এই আগুন নাশকতা কি না, তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আগুন লাগার কারণসহ সব বিষয়ে তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি হচ্ছে। এই কমিটির তদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে।সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত জায়গায় আগুনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্ঘটনা যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে।’
তিনি জানান, প্রথমে ভবনের ৬তলায় আগুনের সূত্রপাত। পরে তা উপর দিকে উঠে। আগুনের উৎস অনুসন্ধানেও তদন্ত কমিটি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আমাদের (সরকার) ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে উত্তরবঙ্গের কর্মসূচি স্থগিত করে সকালে ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল।
আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক তদন্ত কমিটি গঠনেরও নির্দেশ প্রদান করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
ফেসবুকে সারজিস আলম লিখেছেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের যারা চাটার দল ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম স্টেকহোল্ডার ছিল আমলাদের বৃহৎ একটা অংশ। এদের ওপর ভর দিয়েই হাসিনা এই দেশে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল। যখনই বিপ্লবীরা হাসিনার অপকর্ম, চুরি, লুটপাট, দুর্নীতির দিকে নজর দিয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তখনই সচিবালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইলগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে দিল।
ফেসবুকে আরও লেখেন, রাষ্ট্রসংস্কার করতে হলে সবার আগে আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনে যেসব চাটার দল এখনও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। সাবধান করার সময় আর নাই।নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ভাই বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন। পুরো বাংলাদেশে আপনাদের সঙ্গে আছে।
দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি বিএনপির সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে আগুনের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি জানান তিনি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আগুনে নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন এবং আগুনে একজনের মৃত্যু ও ২-৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।’সাধারণ দুর্ঘটনা বলে মেনে নেওয়া যায় না আওয়ামী লীগ বলছে, দেশের প্রশাসনিক হৃৎপিণ্ড সচিবালয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই সাধারণ দুর্ঘটনা বলে মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে যখন ঘটনাটি ৭ নম্বর ভবনে ঘটে, যেখানে দুই ছাত্র উপদেষ্টাদের অফিস এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষিত ছিল।
৬ ঘণ্টা ধরে আটটি মন্ত্রণালয়ের অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা সেখানে আসেননি বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ। নাশকতা কি না তদন্ত করা দরকার জামায়াত বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭নং ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সবকিছু পুরে ছাই হয়ে বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭নং ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সবকিছু পুরে ছাই হয়ে বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দেশের সকল প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হলো বাংলাদেশ সচিবালয়। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেখানে কিভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সচিবালয় এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো নাশকতা কি না তা তদন্ত করা দরকার। দেশবাসী মনে করে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতা ও অসতর্কতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। সেই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন এবং সতর্ক হওয়া দরকার।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য