চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সাত দিনে দেশে দু’বার ভূমিকম্প অনুভূত হলো। এমন ঘন ঘন অনুভূত হওয়ার বিশেষ কোনো তাৎপর্য থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ও গভীরতা এবং ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু শঙ্কা রয়েই যায়। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে এখানে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে। সে কারণে আশঙ্কাও বাড়ছে। আর গতকাল মঙ্গলবার চীনের তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন ৯৫ জন।
গতকাল সকালে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্প ছিল তীব্র ধরনের। আর ৩ জানুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পটি ছিল মাঝারি মাত্রার। দুই ভূমিকম্পের অভিন্ন বৈশিষ্ট্য হলো- দুটোরই উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের বাইরে। গতকাল উৎপত্তিস্থল চীনের জিজাং এলাকা। আর ৩ জানুয়ারির ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের হোমালিন নামের একটি স্থান। দুটি ভূমিকম্পের একটিরও উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ নয়। ৩ জানুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে। আর গতকাল যেখানে উৎপত্তি হয়েছে, সেই চীনের জিজাংয়ের দূরত্ব ঢাকা থেকে ৬১৮ কিলোমিটার দূরে।
মঙ্গলবারের ভূমিকম্পটির মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১। আর ৩ জানুয়ারি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫। মঙ্গলবারের ভূমিকম্প শুধু চীন নয়, ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে একযোগে অনুভূত হয়েছে। বস্তুত এর মাত্রা তীব্র হওয়ার কারণেই দূর থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এত দূরে উৎপত্তি হওয়া দুটি ভূমিকম্পের আদৌ কি কোনো প্রভাব বাংলাদেশে আছে। এর উত্তরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর বলেন, এত দূরে উৎপত্তি হওয়া দুটো ভূমিকম্পের তেমন কোনো প্রভাব আমাদের এখানে নেই। শুধু কম্পন অনুভূত হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতিও নেই। তবে আজকের ভূমিকম্পটি মানমাত্রার দিক থেকে তীব্র। তাই অনেক দূরে এর উৎপত্তি হলেও বাংলাদেশ থেকে অনুভূত হয়েছে।
কিন্তু দূরে হলেও বাংলাদেশে এর ঠিক তাৎপর্য কোথায়? এর উত্তরে রুবায়েত কবীর বলছিলেন, যে দুটি ভূমিকম্প গত সাত দিনের মধ্যে হয়ে গেল। সেগুলোর উৎপত্তিস্থলগুলোর বিবেচনায় বলা যায়, ওই সব এলাকা এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। ওই সব এলাকায় মাঝেমধ্যে এ ধরনের ভূমিকম্প হয়। হিমালয়ের এভারেস্টের উত্তর প্রান্তে আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। হিমালয় পরিবেষ্টিত ওই এলাকায় আগেও এমন ভূমিকম্প হয়েছে।
রুবায়েত কবীর বলছিলেন, গত দুই দিনে যেসব এলাকায় ভূমিকম্প উৎপত্তি হয়েছে। এলাকা দুটিতে বড় চ্যুতি আছে। গঠন বৈশিষ্ট্যের কারণেই এলাকা দুটো ভূমিকম্পপ্রবণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বসবাসের অনুপোযোগী হিসেবে বিশ্ব তালিকায় স্থান পেয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দূষণ ছাড়াও জনসংখ্যার আধিক্য, সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মতো ভৌগোলিক সমস্যা দেখা দিয়েছে এখানে। এতকিছুর পরেও সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ভূমিকম্প।
ভূমিকম্পের কয়েকশ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৫৪৮ সালে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম। এতে ভূমিতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়। ভূগর্ভ থেকে কাদামাটি ও বিষাক্ত পানি ছিটকে বের হয়ে আসে। এরপর মিঠাপানির সঙ্গে মিশে যায় সালফারের গন্ধ। এরপর ১৬৪২ সালে সিলেট ও ১৬৬৩ সালে আসামে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকল্প ছিল ভয়াবহতম।
এ অঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহতম ভূমিকম্প আঘাত হানে ১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল। এদিনে চট্টগ্রামের ১৫৫ দশমিক ৪৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যায় সমুদ্রে। ঢাকা অঞ্চলে প্রাণহারায় অর্ধসহস্রাধিক মানুষ। নদ-নদী, খালবিলের পানির উপচে তীরবর্তী শহরের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। রাস্তাঘাটে পড়ে থাকতে দেখা যায় মাছ, গবাদিপশু আর মানুষের লাশ। এ ভূমিকম্পের কারণে জ্বালাময়ী রূপ নেয় সীতাকুণ্ডের পাহাড়ের দুটি আগ্নেয়গিরি।
পরবর্তী দু’শ বছর ধরেই নানা সময়ে ভয়াবহ সব ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এর মধ্যে ১৭৭৫, ১৮১২, ১৮৬৫, ১৮৬৯, ১৮৮৫ এবং ১৮৮৯ সালে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভূমিকম্পের থাবায় সিলেট অঞ্চলে ৫৫৪ জন প্রাণ হারায়। সে সময় বিভিন্ন সরকারি অফিস ভবন, জমিদার বাড়ি ধসে পড়ে। এতে ৫ লাখ রুপির (তৎকালীন হিসেব) সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এরপর উনিশ থেকে বিংশ শাতব্দী পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নানা মাত্রার ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়া গেলেও ক্ষয়-ক্ষতির হিসেব পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, শত বছর পর পর ভয়াবহ সব ভূমিকম্প সংঘটন হলেও বিগত একশ বছরে ব্যাপক প্রাণহানিকর ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। এ কারণে গবেষকদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে- তাহলে কি অদূর ভবিষ্যতে প্রাণহানিকর কোনো ভূমিকম্প আসছে?
ঝুঁকিপূর্ণ জোন : এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে দেখতে পাই সিলেট ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যকে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এ এলাকাটি ইন্ডিয়ান টেকটনিক প্লেট, ইউরোএশিয়ান প্লেট এবং বার্মিজ টেকটনিক প্লেটের সংযোগ স্থল। এ প্লেটগুলো যখন নড়াচড়া করে ও একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায় তখনি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাছাড়া ভূকম্পনের আরো যে কয়টি কারণ আছে তার মধ্যে আগ্নেয়গিরি, শিলাচ্যুতি, তাপবিকিরণ, ভূগর্ভস্থ বাষ্পের মতো কারণগুলো উল্লেখযোগ্য। ভূপৃষ্ঠের গঠন আলাদা হওয়ার করণে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে আলাদা হয়ে যায় ভূমিকম্পের কারণও।
বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষকরা ভূকম্পন এলাকাভিত্তিক মানচিত্র তৈরি করেছেন। এতে বাংলাদেশকে তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে জোন-১। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো অংশ ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের অংশবিশেষ। মধ্যম ঝুঁকির জোন ২। এতে রয়েছে রাজশাহী, নাটোর, মাগুরা, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী এবং ঢাকা। নিম্নঝুঁকিপূর্ণ জোন-৩- এর জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বরিশাল, পটুয়াখালীসহ সব দ্বীপ ও চরগুলো।
২০১৭ সালের শুরুতে ৩ জানুয়ারি কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ভূমিকম্পের সূচনা হয়। ভারতে দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ৭৩ কিলোমিটার পূর্বে আসাম্বল এলাকায় উৎপত্তি হয় ওই ভূমিকম্পের। ভূগর্ভের ৩৫ কিলোমিটার গভীর উৎপত্তিস্থল থেকে মাঝারি মাত্রার (৫.৫) এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ঢাকাসহ দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে কর্মস্থল থেকে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও আতঙ্কিত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের হিসাবে, গত ৪৮৫ বছরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে ও ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫২টি মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রায় ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছিল ঢাকা ও এর আশপাশে। গত এক যুগে ঢাকার আশপাশে মোট আটটি ভূমিকম্প হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও দোহারে। এর আগের ভূমিকম্পের বেশির ভাগ কেন্দ্রস্থল ছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের হিসাবে, সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা ও সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা। ঢাকার পাশে টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলের নিচেও একটি চ্যুতি রয়েছে, সেটির নাম মধুপুর চ্যুতি। এই চ্যুতিরেখায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ভবন ধসে পড়বে বলে উঠে এসেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায়। ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের’ রাজউক অংশের আওতায় ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল সময়ে করা সমীক্ষাটিতে বলা হয়, দিনের বেলায় ওই মাত্রার ভূমিকম্প হলে মারা যাবেন ২ লাখ ১০ হাজার মানুষ।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীর ভবনগুলোকে ভূমিকম্পন-সহনশীলভাবে তৈরি করা এবং সচেতনতামূলক প্রস্তুতি বাড়াতে হবে।
চীনের তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫ : চীনের প্রত্যন্ত তিব্বত অঞ্চলে গতকাল সকালে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ হয়েছে। ভূমিকম্পে অনেক ঘরবাড়ি-ভবন ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ নেপালের সীমান্তবর্তী তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।
সিইএনসি বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বেলা ৩টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে মোট ৯৫ জনের নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ১৩০ জন।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্রভাবে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থলের কাছের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
সকালের ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটিতে একাধিকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে পরাঘাতের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
সিসনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে লোক পাঠানো হয়েছে। তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত। এই অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য